বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোগীদের ভোগান্তিতে ফেলে ধর্মঘট, পরে প্রত্যাহার

রাজশাহীর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রোগীদের ভোগান্তিতে ফেলে ধর্মঘট, পরে প্রত্যাহার

রাজশাহীতে রোগীদের ২৪ ঘণ্টা ভোগান্তিতে ফেলে অবশেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা। গতকাল দুপুরে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের প্রতিবাদে রাজশাহীর বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা ধর্মঘট শুরু করেন।

বাংলাদেশ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা শাখার সহ-সভাপতি ডা. ফয়সাল কবীর চৌধুরী জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ক্লিনিক মালিক নেতাদের সঙ্গে প্রশাসনের জরুরি সভা শুরু হয়। বিকাল ৩টার দিকে সভা শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তিনি জানান, ওই সভায় রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আশীষ কুমার সাহা, বাংলাদেশ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. এমএ মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয় বলেও জানান তিনি। ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রোগীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের সামনে রোগীদের লম্বা লাইনও দেখা যায়। সকালে নওগাঁর পত্নীতলা থেকে আসা সাইদুর রহমান জানান, তার মাকে নিয়ে এসেছেন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে। কিন্তু বন্ধ থাকায় এখন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। কুষ্টিয়া থেকে আসা শ্যামলী বেগম জানান, নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে তিনিও রাজশাহী এসে এখন বেকায়দা পড়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত আমানা হাসপাতালকে সাড়ে ৩ লাখ, রয়্যাল হাসপাতালকে পৌনে ৪ লাখ ও ডেলটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় গ্রেফতার করা হয় আমানা ও রয়্যাল হাসপাতালের ম্যানেজারকে। এর প্রতিবাদেই নগরীর প্রায় ১০০টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘট চলাকালে সেখানে নতুন করে কোনো রোগী ভর্তি নেওয়া হয়নি। জরুরি সেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ থাকায় নানা রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। ফলে রোগীদের চাপ বেড়ে যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। বাধ্য হয়ে রামেক হাসপাতালের প্যাথলজি ও এক্স-রে বিভাগ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা। তবে তার এই নির্দেশনার পরই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকের মালিকরা।

সর্বশেষ খবর