শিরোনাম
শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

দখলে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক

মানিক মুনতাসির, ভালুকা থেকে ফিরে

দখলে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক

মহাসড়কের টঙ্গী থেকে ভালুকা অংশের রাস্তার দুই পাশে অবৈধ পার্কিং ব্যবস্থা করে ফেলেছে দখলকারীরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়কের টঙ্গী থেকে ভালুকা অংশের রাস্তার দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ দোকানপাট আর স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা। বিশেষ করে ট্রাক আর কাভার্ড ভ্যানের পার্কিংয়ে সরু হয়ে গেছে রাস্তার দুই পাশ। টঙ্গী থেকে ভালুকা পর্যন্ত কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পার্কিং করে রাখা হয় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। আবার গাজীপুর চৌরাস্তার ওপারে কিছু এলাকা জুড়ে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে যাত্রীবাহী বাস। ফলে এই মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হলেও এই চার লেনের শতভাগ সুফল পাচ্ছেন না সড়ক ব্যবহারকারীরা। আর টঙ্গী থেকে ভালুকা পর্যন্ত মহাসড়ক ঘেঁষে অল্প দূরত্বে গড়ে উঠেছে বাজার। কোথাও কোথাও রাস্তার ওপর পর্যন্ত বাজার বসানো হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিদিন বিকালে টঙ্গী, গাজীপুর চৌরাস্তা, জামিয়াদি, বোর্ড বাজার এসব এলাকায় রাস্তার এক লেন দখল করে বসানো হয়েছে বাজার। ফলে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। সৃষ্টি হচ্ছে অহেতুক যানজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সড়ক ব্যবহারকারীরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গাড়িতে টঙ্গী ব্রিজ থেকে টঙ্গী রেল ওভারপাস পর্যন্ত অতিক্রম করতেই আধা ঘণ্টা সময় লেগে যায়। অথচ এই পথ পাড়ি দিতে ৫ মিনিটই যথেষ্ট। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশের পুরো রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ লাইনে কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক পার্কিং করে রাখা হয়েছে। এর ফলে দুই দিক থেকে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। যা যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করছে। এতে মাঝে মাঝেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু তাই নয় গাজীপুর ও ময়মনসিংহগামী যাত্রীবাহী বাস যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকছে দীর্ঘ সময়। কোনো নিয়ম-কানুন মানছে না এসব যাত্রীবাহী বাস। নির্দিষ্ট স্টপেজ থাকা সত্ত্বেও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করছে এসব বাস। আবার টঙ্গী রেল ওভারপাসের পর ভালুকা পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকায় কোথাও ফুটওভারব্রিজ না থাকায় পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। এ ছাড়া ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় প্রায় সারা বছরই পিকনিক, ফ্যামিলি ডে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে বাধ্য হয়ে। এতে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া টঙ্গী থেকে গাজীপুর হিউম্যান হলারও চলতে দেখা গেছে। যা এ ধরনের মহাসড়কে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যান।

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ভালুকা পর্যন্ত এই মহাসড়কের দুই পাশে ছোট ছোট দোকানের পাশাপাশি ২০টিরও বেশি বাজার রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি কাঁচাবাজারও রয়েছে। আর এই কাঁচাবাজারগুলো একেবারে মহাসড়ক ঘেঁষে। এমন কি কোথাও কোথাও এই মহাসড়কের একটি পুরো লেন দখল করে বাজার বসানো হয়েছে। তবে এই মহাসড়কটি চার লেনের হলেও বাস্তাবে এটি ছয় লেন। আবার পাশে আরেকটি কাঁচা লেনও রয়েছে। যা ফুটপাথ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ওই অতিরিক্ত দুটি লেনই অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। তিন লেনের একটির পুরো অংশেই ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও যাত্রীবাহী বাস পাকিং করে রাখতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ খবর