আগের দিনের মতো গতকালও বড় দরপতন ঘটেছে শেয়ারবাজারে। রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণায় শেয়ারবাজারের কঠোর নজরদারির ঘোষণায় বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়। এর প্রভাবে দ্বিতীয় দিনেও বাজারে কিছুটা ভীতি কাজ করেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল বাজার রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ নেবে। এতে ভীতির কোনো কারণ নেই। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতির প্রভাবেই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির প্রবণতায় অধিকাংশ কোম্পানির দরই কমেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে প্রায় ৮০ পয়েন্ট। দিন শেষে সূচক কমে ৫ হাজার ৪২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। যা আগের দিন ১১৭.৭৯ পয়েন্ট কমেছিল। মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন এ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার। এ হিসাবে ৬২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বা ১৬.৭৪ শতাংশ লেনদেন কমেছে। ৩২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হওয়া ২৪৯টি বা ৭৬.১৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। আর ৬৮টি বা ২০.৮০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে এবং ১০টি বা ৩.০৬ শতাংশ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল। সকালে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে এক ঘণ্টার ব্যবধানে তা প্রায় ৯০ পয়েন্ট কমে যায়। সারা দিন সূচকে কিছুটা ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে।
এ দিনে লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বারাকা পাওয়ারের শেয়ার। এ কোম্পানির ৪৮ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আরএসআরএম স্টিলের ৩৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। লেনদেনে এরপর রয়েছে-বেক্সিমকো, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সাইফ পাওয়ারটেক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, শাশা ডেনিমস, ন্যাশনাল ব্যাংক ও ইফাদ অটোস।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স মূল্য সূচক ১১৯.৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০১৮২.৫৮ পয়েন্টে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৭১ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৬টির মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির শেয়ার দর।জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বাজারে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। দ্রুত শেয়ারবাজার যেভাবে উঠেছে পরে নানা মহল থেকে সতর্ক করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তবে আমার মনে হয় বাজার এখনো ঠিক আছে। ভীতির কিছু নেই। শেয়ারবাজার খুবই সেনসিটিভ জায়গা। তাই সতর্ক সব সময়ই থাকতে হবে। তবে মন্দা অবস্থা থেকে বাজার বের হয়ে এসেছে।