বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
আদালতে তথ্য

কাছ থেকে তিন গুলি, কোনিওর মৃত্যু হয় রক্তক্ষরণেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

বুকে লাগা গুলিতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিওর মৃত্যু হয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন ময়নাতদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান ডা. রফিকুল ইসলাম। গতকাল রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।

ডা. রফিকুল ইসলাম আদালতকে বলেন, খুব কাছ থেকে হোশি কোনিওর শরীরে তিনটি গুলি করা হয়। বুকের ডান দিকের গুলিটি শরীরে বিদ্ধ হলেও তা বের হতে পারেনি। সেটি পরে বের করা হয়। এ ছাড়া তার গলার ডানে এবং ডান হাতের কব্জিতে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। ডা. রফিকুল ছাড়াও তদন্ত কমিটির আরও তিন সদস্য সাক্ষ্য দেন। এরা হলেন কমিটির সদস্যসচিব চিকিৎসক নরেন্দ্র নাথ গোস্বামী, সদস্য রবি শঙ্কর মল্ল ও নারায়ণ চন্দ্র সাহা। এ ছাড়া এ মামলার আসামি জেএমবি সদস্য আবু সাঈদের পীরগাছা উপজেলার টাঙ্গাইপাড়ার বাসিন্দা জমসেদ আলী, মঞ্জু মিয়া ও মতিয়ার রহমানও এদিন সাক্ষ্য দেন। আবু সাঈদ কারাগারে আছেন। তিনজনই আদালতকে জানান, তাদের সামনেই পুলিশ আবু সাঈদের কম্পিউটারের দোকান থেকে মনিটর, সিপিইউ, লেমিনেটিং মেশিন ও প্রিন্টার এবং একটি মোটরসাইকেলের নম্বর-প্লেট উদ্ধার করে। হোশি কোনিও হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মূল নম্বর-প্লেট ছিল সেটি। হত্যাকারীরা তা খুলে রেখে ভুয়া নম্বর-প্লেট লাগিয়েছিল। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। পরে ২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রেখে আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন বিচারক। এ নিয়ে পাঁচ দফায় মামলার বাদীসহ ৪০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। মামলায় আরও ১৭ জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় কারাগারে থাকা আসামি জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা, সদস্য ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ৬৬ বছর বয়সী জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও।

সর্বশেষ খবর