বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
টাঙ্গাইল উপনির্বাচন

প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকে মাঠে পাওয়া যায়নি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী ছাড়া মাঠে অন্য দুই প্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বেশির ভাগ কেন্দ্র ছিল ভোটারশূন্য। মিডিয়ার ক্যামেরা উপস্থিত হলেই আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের দৌড়ে এসে ভোটারের লাইনে দাঁড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। আবার ক্যামেরা সরে গেলে লাইন ভেঙে বের হয়ে যান তারা। এমন চিত্র দেখা গেছে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে। কেন্দ্রগুলোয় নৌকার এজেন্ট থাকলেও অন্য দুই প্রার্থীর কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দুই প্রার্থীকে ভোটাররা ভোটের আগে ও পরে কোনো দিনই দেখেননি বলে জানান অনেকেই। এমনকি দুই প্রার্থী কেউ এ উপজেলার ভোটার নন।

উপনির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী আওয়ামী লীগের হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী নৌকা, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) প্রার্থী আতাউর রহমান খান টেলিভিশন ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী ইমরুল কায়েস আম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এলেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইলিয়াস আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীই জয়ী হবেন। আবদুর রহিম বাদল জানান, এ নির্বাচন সম্পর্কে ভোটাররা জানেনই না। তাই ভোটারের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। দলীয় নেতা-কর্মীরাই ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। অনেক জায়গায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরাই ভোট দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে দেখা হয় এলেঙ্গা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে। তিনি জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অন্য দুই প্রার্থীর সঙ্গে তার দেখা হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে হাজারী বলেন, ‘অন্য দুই প্রার্থীর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। তবে দিন তো শেষ হয়নি তাই দেখা হতেও পারে।’

 তিনি বলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নির্বাচনী মাঠে থাকলে নির্বাচন জমত। আর এ আসনে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী অবস্থানে আগেও ছিল, এখনো আছে। গত কয়েকবার নির্বাচনে ৭০-৭৫ হাজার ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।

সর্বশেষ খবর