রাজধানীতে অবস্থিত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যালয়ে দুর্নীতির উৎস খুঁজতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদক পরিচালক খন্দকার এনায়েত রশীদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ অভিযান চালায়। বেলা সাড়ে ১১টায় এ অভিযান শুরু হয়ে শেষ হয় আড়াইটায়। এ ছাড়া কুমিল্লায় অন্য অভিযানে সাবেক দুই ইউপি সদস্যসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে দুদক। বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক (গণমাধ্যম) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। অভিযান শেষে দুদক পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিআরটিএ-প্রধানের কাছে আমরা দুর্নীতি-সংক্রান্ত তথ্যের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা এ সংস্থার আর্থিক অনিয়মসহ নানা ধরনের অসঙ্গতি প্রতিরোধে কাজ করব।’
কুমিল্লায় গ্রেফতার ৪ : ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য হাফেজ আহমেদ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য জসিম উদ্দিনকে ১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দুদক। এ ছাড়া জাল দলিলের মাধ্যমে সরকারি খাস ১০ শতক জমি বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন জেলার দেবীদ্বার উপজেলার আবদুল বারী ও আবদুস সামাদ। গ্রেফতারের পর চারজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ১৮ জানুয়ারি সরকারি ১৫ প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রোধে ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক বিশেষ টিম গঠন করে দুদক। রবিবার থেকে কার্যকারিতায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।