বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘ব্রেইন ফুড’ পম পম মাশরুম

নাহিদুর রহমান হিমেল

‘ব্রেইন ফুড’ পম পম মাশরুম

দেশীয় মাশরুমের বাজারে নতুন নাম ‘পম পম’ মাশরুম। ‘ব্রেইন ফুড’ হিসেবে পরিচিত এই মাশরুম মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। মাশরুমটি ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুর পুনর্গঠন ঘটায় এবং মস্তিষ্কের কোষসমূহের দ্রুত উন্নয়নে কাজ করে। এ ছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্রম হ্রাসের প্রাথমিক প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। ফলে বৃদ্ধাবস্থায়ও এটি স্মৃৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করে। পম পম মাশরুম সারাবিশ্বে মূল্যবান ঔষধি মাশরুম হিসেবে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Hericium erinaceus (হেরিসিয়াম এরিনাসিয়াস)। সম্প্রতি মাশরুম প্রেমীদের জন্য এই মূল্যবান মাশরুমের চাষিবান্ধব সহজ চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের পিএইচডি গবেষক ও সফল মাশরুম উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সাবেক এই গবেষক বলেন, ‘পম পম’ মাশরুম একটি সেরা ঔষধি মাশরুম। মাশরুমটি মোটামুটি ক্যালরিমুক্ত এবং দেহ রোগমুক্ত রাখার জন্য প্রাকৃতিক প্রাণ রাসায়নিক উপাদানে সমৃদ্ধ। মাশরুমটিতে রয়েছে বিটাগ্লুকান, হেটারো-গ্লুকান এবং হেরিসিনোন্স ও এরিনাসিন্স নামক জটিল প্রাণ রাসায়নিক উপাদান। প্রথমে উত্তর আমেরিকায় আবিষ্কার হলেও চীন দেশে প্রায় শতাব্দীকাল ধরে মাশরুমটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, মাশরুমটিতে রয়েছে পালমিটিক এসিড, থ্রেইটল এবং ডি-অ্যারাবিনোজ, যা রক্তের চিনি ও কোলেস্টেরলের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত মাশরুম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে গবেষক আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মাশরুমটির বার্ষিক উৎপাদন ২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। আমাদের দেশের এই মাশরুম উৎপাদনের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল খায়ের বলেন, ‘গবেষক আনোয়ার হোসেন সারা বছর বিভিন্ন মৌসুমি মাশরুমের উৎপাদনে নিজের ব্যক্তিগত ফার্মে কাজ করে যাচ্ছেন। পম পম মাশরুম উৎপাদনে তার এই সফলতা অবশ্যই মাশরুম শিল্পের জন্য একটি বিশাল সুখবর।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর