বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধে তিন জেলায় নিহত ৩

প্রতিদিন ডেস্ক

রংপুর, মাগুরা ও খুলনায় গতকাল পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, নিহতদের মধ্যে রংপুরের দুই ডাকাত ও মাগুরার এক মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন। আহতজন খুলনার হত্যা ও ডাকাতি মামলার আসামি। রংপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, তারাগঞ্জ উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন আলমপুর ইউনিয়নের ভীমপুর গ্রামের মৃত জাকারিয়ার ছেলে মশিউর রহমান (৪০) ও রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের কুর্শা বলরামপুর গ্রামের প্রয়াত বিজিনচন্দ্রের ছেলে বিজয়চন্দ্র দোমাসু (৩২)। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের লেংটিছিঁড়া সেতুর কাছে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিয়া জানান, লেংটিছিঁড়া সেতুর কাছে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর আসে। পরে পুলিশ গেলে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি করলে ঘটনাস্থলেই ডাকাত মশিউর ও বিজয়ের মৃত্যু হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, একটি ওয়ান শুটার ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। নিহতরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। রংপুরের বিভিন্ন থানায় মশিউরের নামে ২২টি আর বিজয়ের নামে ১৬টি ডাকাতি ও ছিনতাই মামলা রয়েছে।

মাগুরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মাগুরায় বন্দুকযুদ্ধে জুনাব আলী (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার ধলহরা গুচ্ছগ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। পুলিশের দাবি, জুনাব মাদক ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা ১৩ মামলার আসামি। সদর উপজেলার ধলহরা-বিনোদপুর সড়কের পাশে গতকাল ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশেরও চার সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, চার রাউন্ড বন্দুকের গুলির খোসাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র। মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজমল হুদা জানান, রাত ২টার দিকে মাগুরা-বিনোদপুর সড়কের পাশে পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী জুনাব আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ জুনাব আলীকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আজমল হুদার ধারণা, তারা ডাকাতি বা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ওই স্থানে সংঘবদ্ধ হয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে জুনাবের চাচাতো ভাই মাহফুজ হোসেন জানান, একাধিক মামলার কারণে জুনাব পলাতক ছিলেন। দুই দিন আগে তিনি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বলে খবর পেয়েছিলেন। এরপর নিহতের খবর এসেছে।

খুলনা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, খুলনায় প্রভাষক চিত্তরঞ্জন বাইন হত্যা ও ডাকাতি মামলার আসামি রাসেল ওরফে পঙ্গু রাসেল (২২) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে ধরা পড়েছেন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, বন্দুকযুুদ্ধের ঘটনায় খুলনা সদর থানার চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মহানগরীর পশ্চিম টুটপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল বিকালে খুলনা সদর থানায় অস্ত্র আইনে ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। সদর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, প্রভাষক চিত্তরঞ্জন বাইন হত্যা ও ডাকাতি মামলার আসামি রাসেলকে মঙ্গলবার রাতে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পশ্চিম টুটপাড়ায় অভিযানে যায়। এ সময় রাসেলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে ক্রসফায়ারে পড়ে রাসেল দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, এর আগে ২২ জানুয়ারি রাতে মামলার অন্য আসামি আজিজুল (২৩) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন।

সর্বশেষ খবর