শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
জামায়াতের ২৮ নারী কর্মী রিমান্ডে

নাশকতা ও সরকার উৎখাত পরিকল্পনার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাশকতা ও সরকার উৎখাত পরিকল্পনার  অভিযোগ

নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় জামায়াতে ইসলামীর ২৮ নারী কর্মীকে গতকাল ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার ২৮ নারী নাশকতা ও সরকার উত্খাতের পরিকল্পনা করতেই জড়ো হয়েছিলেন। এর মধ্যে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবারের সদস্যও রয়েছেন। গতকাল সকালে মোহাম্মদপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। গতকালই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুুুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফুল ইসলাম গ্রেফতারদের সাত দিনের রিমান্ডে দেওয়ার আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের ১১/৭ বাড়ির দোতলা থেকে গোপন বৈঠককালে জামায়াতে ইসলামীর ওই ২৮ নারী সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডিসি বিপ্লব জানান, ‘আমাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল মোহাম্মদপুরে এ ধরনের বৈঠক মাঝে মাঝে হয়। বৃহস্পতিবার আমরা বাসাটি নিশ্চিত হওয়ার পর সেখানে অভিযান চালাই। অনেকক্ষণ চেষ্টা করলেও তারা প্রথমে দরজা খুলতে চাননি। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে তারা দরজা খুলে দেন। পরে তাদের ২৮ জনকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। এদের সমবেত হওয়ার উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অবৈধ উপায়ে বিব্রত করা।’

বিপ্লব সরকার বলেন, ‘তাদের প্রত্যেকেই জামায়াতের রুকন পর্যায়ের নেত্রী। তারা শুধু ঢাকা নয়, বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে। তাদের প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত। তাদের মধ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তিনজন চিকিৎসক রয়েছেন। তবে অনেকেই তাদের প্রকৃত পরিচয় দিচ্ছেন না। এদের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবারের সদস্য রয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে কে বা কারা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অভিযানের সময় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের উদ্দেশে ছাপানো ৫০টি ও অন্য আরও ৭০টি লিফলেট, সংগঠনের মাসিক রিপোর্ট ফরম ২২৫টি, গোলাম আযমের লেখা তিনটি ও মতিউর রহমান নিজামীর লেখা একটি বই উদ্ধার করা হয়। আমরা তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি, তারা ধর্মের ও তাবলিগের কথা বলে ধর্মের আড়ালে নাশকতা ছড়ানোর পরিকল্পনায় ছিলেন।’

গ্রেফতারকৃতরা হলেন শাহনাজ বেগম, নাইমা আক্তার নাইমা, উম্মে খালেদ, জোহরা বেগম, সৈয়দা শাহিন আক্তার, উম্মে কুলসুম, জেসমিন খান, খোদেজা আক্তার, সালমা হক, সাকিয়া তাসনিম, সেলিমা সুলতানা সুইটি, আসমা খাতুন, তাসলিমা, শরীফা আক্তার, রুবিনা আক্তার, আফসানা মিমি, রোখসানা বেগম, হাসসা, আখলিমা ফেরদৌস আঁখি, রাজিয়া আক্তার, রুমা আক্তার, উম্মে আতিয়া, ফাতেমা বেগম, সাদিয়া, ইয়াসমিন আক্তার, সুফিয়া ওরফে চাঁদনি, আনোয়ারা বেগম ও রহিমা খাতুন রিমা। পুলিশের দাবি, এরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি, রুকন ও সমর্থক। শাহনাজ বেগম জামায়াতের মহিলা বিভাগের সভানেত্রী।

সর্বশেষ খবর