বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

দেশি প্রজাতির পাখি নীলাভ কীটকুড়ানি

আলম শাইন

দেশি প্রজাতির পাখি নীলাভ কীটকুড়ানি

পাখির বাংলা নাম, ‘নীলাভ কীটকুড়ানি’। ইংরেজি নাম, Velvet-fronted Nuthatch। বৈজ্ঞানিক নাম, Sitta frontalis। এরা ‘কালাকপাল বনমালী’ নামেও পরিচিত। এ পাখির রয়েছে মনহরণকারী রূপ। গাট্টাগোট্টা চেহারা। প্রথম দর্শনেই পাখিপ্রেমীদের নজর কাড়তে সক্ষম।

এরা আমাদের দেশীয় প্রজাতির পাখি। বাংলাদেশ ছাড়া বৈশ্বিক বিস্তৃতি ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ-পূর্ব চীন ও ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত। প্রাকৃতিক আবাসস্থল চির সবুজ বনানী, পর্ণমোচী, পাইন, পাহাড়ি জঙ্গল এবং ট্রপিক্যাল রেনফরেস্ট। একাকি, জোড়ায় কিংবা ছোটদলে বিচরণ করে। হিংস্র নয়, অত্যন্ত চঞ্চল স্বভাবের পাখি এরা। গাছের খাড়া কাণ্ডে খুব দ্রুত হেঁটে উঠতে পারে। নিমেষেই গাছের এক ডাল থেকে অন্য ডালে কীট-পতঙ্গ খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে যায়। হয়তো এই জন্যই এদের নাম করণ হয় ‘কীটকুড়ানি’। সুন্দর এ প্রজাতিটি বিশ্বব্যাপী হুমকি না হলেও ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রজাতি গড় দৈর্ঘ্য ১২-১৩ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারায় সামান্য পার্থক্য আছে। শরীরের তুলনায় মাথা খানিকটা বড়, অপরদিকে লেজ একেবারেই খাটো। কপাল কালো। মাথার দুপাশ দিয়ে কালোটান ঘাড়ের কাছে এসে ঠেকেছে। মাথা, পিঠ, কোমর ও লেজ বেগুনি- নীল। ডানার প্রান্ত পালক ধূসর কালো। দেহতল সাদাটে। ঠোঁট লাল। চোখের বলয় হলুদ, তারা কালো। পা কমলা লাল। অপরদিকে স্ত্রী পাখি কিছুটা নিষ্প্রভ। এদের প্রধান খাবার কীট-পতঙ্গ, পোকামাকড়, মাকড়সা ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে জুন। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বাসা বাঁধে গাছের কোটরে। শৈবাল, তন্তু, শুকনো ঘাস, পালক ইত্যাদি বাসা বানানোর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে। ডিম পাড়ে ৩-৬টি। বাদবাকি তথ্য এখনো অজানা।

সর্বশেষ খবর