বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
আন্তর্জাতিক গবেষণায় তথ্য

২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৮তম অর্থনীতির দেশ

প্রতিদিন ডেস্ক

২০৫০ সালে কতটা এগোবে বাংলাদেশের অর্থনীতি? এ নিয়ে বৈশ্বিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, ২০৫০ সালে বিশ্বের ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। আর ওই ধাপে এগোলে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে বিশ্বে ২৮তম।

অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আগামী ৩৪ বছরে কতটা শক্তিশালী হবে, তা নিয়ে গবেষণা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস (পিডব্লিউসি)। প্রতিষ্ঠানটির ‘সুদূর প্রসারী : ২০৫০ সাল নাগাদ কীভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে?’ শীর্ষক সাম্প্রতিক গবেষণায় বাংলাদেশ নিয়ে এমন আশাবাদের তথ্য উঠে এসেছে। পিডব্লিউসির গবেষণায় বলা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৬-২০৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে বলা হয়েছে গবেষণায়। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার হবে ১ হাজার ৩২৪ বিলিয়ন ডলার। ২০৫০ সালে গিয়ে যা দাঁড়াবে ৩ হাজার ৬৪ বিলিয়ন ডলারে।

একটি দেশের অর্থনীতি কতটা বড় ও শক্তিশালী, সেটি নির্ধারণে সর্বস্বীকৃত দুটি উপায় আছে। একটি হলো ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে জিডিপির আকার, অন্যটি হলো বাজার বিনিময় হারের (এমইআর) ভিত্তিতে জিডিপির আকার।

গবেষণায় জিডিপির দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ৩২টি দেশের অর্থনীতিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সে হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ৩২টি অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হলো ৩১ এ। এই ৩২টি অর্থনীতি বিশ্বের মোট জিডিপির ৮৫ শতাংশের জোগান দেয়। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে বাংলাদেশ, ভারত ও ভিয়েতনামের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। দ্রুত বর্ধনশীল কর্মক্ষম জনসংখ্যা, দেশীয় চাহিদা ও উৎপাদনে চাঙ্গাভাব থাকায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে এগিয়ে থাকবে এই তিন দেশ। তবে শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে অধিক বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি প্রয়োজন বলে বলা হয়েছে গবেষণায়। দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে অর্থনৈতিক সংস্কার, সামষ্টিক অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ ও শিক্ষার প্রসারের দিকে নজর দিতে হবে দেশগুলোকে।

গবেষণায় বলা হচ্ছে পিপিপির ভিত্তিতে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীনের অবস্থান বহাল থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে সরিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসবে ভারত। দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি মেক্সিকো ও ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের চেয়ে এগিয়ে যাবে। পাকিস্তান ও মিসর পেছনে ফেলবে ইতালি ও কানাডাকে। ২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ার অর্থনীতির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে ইউরোপ। বিশ্ব জিডিপিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৯ শতাংশ হবে।

গবেষণায় আরও বলা হয়, ২০৪২ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানের দ্বিগুণ হবে। ২০১৬-২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বের মোট জিডিপির ৫০ শতাংশের দখল থাকবে ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া ও তুরস্কের।

সর্বশেষ খবর