শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘কেটে চার টুকরো করে মিয়ানমার বাহিনী’

প্রতিদিন ডেস্ক

নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হাসিনা। তিনি বলেন, ‘গ্রামে হামলা চালিয়ে সেনারা পুরুষদের চার টুকরো করে কেটে মাটিতে পুঁতে ফেলে, যাতে আলোকচিত্রে এই নৃশংসতার প্রমাণ না থাকে।’ ২০ বছর বয়সী হাসিনা বেগমের বাড়ি ছিল মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের বুড়া সিডা পাড়ায়। তিনি গত মাসের মাঝামাঝিতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন। হাসিনা বলেন, তার গ্রামে হামলাকারী সেনারা নারী ও মেয়ে শিশুদের আটক করে। প্রায় ১৩ জন সেনা দুজন কিশোরীকে মাসহ বাকি নারীদের সামনে ধর্ষণ করে। নারীদের তারা ওই নৃশংসতা দেখতে বাধ্য করে। এসব দৃশ্য হাসিনাকে বার বার তাড়া করে ফেরে। নিজের মানসিক আঘাতের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তখন আল্লাহর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কেন তিনি আমাকে এই সাজা দিচ্ছেন। আমাকে মেরে ফেলার জন্য আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম।’ সিদ্ধান্তে অটল থাকার সুরে তিনি বলেন, ‘আমি কখনই মিয়ানমারকে মনে রাখব না। আমি এখানে কেবল খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান চাই। তাতেই আমি সুখে থাকব।’

গণহারে হত্যা, শিশু হত্যা, নারী ও মেয়ে শিশুদের গণধর্ষণ, রোহিঙ্গাদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়াসহ হাসিনার মতো একই ধরনের বিভীষিকাময় ঘটনার সাক্ষ্য দিয়েছেন বাংলাদেশে নতুন করে আসা কয়েকশ রোহিঙ্গা শরণার্থী, যা গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নতুন একটি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

জাতিসংঘের হিসাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।

সর্বশেষ খবর