সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিমানের উন্নয়ন ও সংস্কারে টাস্কফোর্স কমিটি

কাজ শুরু করবে শিগগির

নিজামুল হক বিপুল

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উন্নয়ন ও সংস্কারের লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স এবং অপর একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের দুজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে পৃথক এই দুই কমিটি শিগগির কাজ শুরু করবে। টাস্কফোর্স বিমানের দৈনন্দিন কাজের ওপর নজরদারি করবে এবং মন্ত্রণালয়কে সার্বক্ষণিক তথ্য জানাবে। অন্যদিকে তদারকি কমিটি বিমানের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে। এই প্রতিবেদনের আলোকে মন্ত্রণালয় বিমানকে ঢেলে সাজাতে পরবর্তী কর্মসূচি নেবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রায় দুই মাস পর মন্ত্রণালয় গতকালই এই দুটি কমিটি গঠন করল।

কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা দুটি কমিটি করে দিয়েছি। একটি টাস্কফোর্স। তাদের কাজ হবে বিমানের সব কাজের ওপর নজরদারি করা। আরেকটি হচ্ছে উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটি। তারা বিমানের সার্বিক বিষয় তদারক করে বিমানকে ঢেলে সাজাতে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে। যাতে সুপারিশ থাকবে। সেই সুপারিশের আলোকে মন্ত্রণালয় পরবর্তী কার্যক্রম চালাবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় বিমান বাংলাদেশকে ঢেলে সাজাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। প্রথম ধাপেই মন্ত্রণালয় গতকাল পৃথক দুটি কমিটি করেছে। এরমধ্যে টাস্কফোর্সে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহাদাৎ হোসেন আহ্বায়ক, সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। এখানে সদস্য থাকবেন বিমান বাংলাদেশ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমসের একজন করে সদস্য। সদস্য সচিব থাকবেন উপ-সচিব মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন।

অপর কমিটি করা হয়েছে বিমানের সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল হাসনাত মো. জিয়াউল হককে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির সদস্য সংখ্যা সাতজন। কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ডিজিএফআই, এনএসআই, বিমান এবং বিমান মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি। এই কমিটি বিমানের সার্বিক বিষয়ে তদারকি করবে। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় বিমানকে ঢেলে সাজাতে পদক্ষেপ নেবে। টাস্কফোর্স এবং উন্নয়ন ও সংস্কার বিষয়ক এই দুই কমিটি খুব শিগগির নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কাজ শুরু করবে। প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িংয়ের একটি নাট ঢিলে হয়ে যাওয়ার কারণে তুর্কমেনিস্তানের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। বিমানের ত্রুটির ঘটনা তদন্তে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়। দুই কমিটিই তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এই ঘটনা মনুষ্য সৃষ্ট। মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে সুপারিশসহ ২০০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন মন্ত্রীর কাছে জমা দেয়। যাতে বিমানকে ঢেলে সাজানোর সুপারিশ করা হয়। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গত ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেন এবং সার্বিক বিষয় অবহিত করেন। ওই সময়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানকে ঢেলে সাজাতে যা যা করা দরকার তার সবই করার নির্দেশ দেন বিমানমন্ত্রীকে।

সর্বশেষ খবর