শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

ধনেপাতায় নতুন স্বপ্ন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ধনেপাতায়  নতুন স্বপ্ন

রান্নার স্বাদ বাড়াতে ধনেপাতার জুড়ি নেই। সারা দেশে তাই এ পাতার দারুণ চাহিদা। লালমনিরহাটের চাষিরা এখন এই ধনেপাতা নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। তারা একেবারেই কম সময়ে এবং কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় এমন ভাবনার বশবর্তী হয়েছেন।

 কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক কৃষক রবি মৌসুমে তিনবার, আবার অনেকে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি ধনেপাতার আবাদ করেন। অল্প জমিতে অধিক ফলন পাওয়ায় এবং বাজারে অব্যাহত চাহিদার কারণে তারা ধনেপাতা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগও বলছে, ধনেপাতা মূলত রবি মৌসুমের ফসল হলেও চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন ৫ উপজেলার চাষিরা ১২ মাসই এর আবাদ করছেন।

সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের চাষি অনিল কান্ত বলেন, অল্প খরচে ৩০-৪০ দিনের মধ্যে ধনেপাতার ফলন পাওয়া যায়। গাছের বৃদ্ধি ভালো হলে আরও আগে ধনেপাতা বিক্রি করা সম্ভব। কারণ বীজ বপনের পর জন্ম নেওয়া গাছই হচ্ছে ফলন। মহেন্দ্রনগর গ্রামের কৃষক আজগর আলী জানান, তিনি ‘তিন দোন’ জমিতে ধনেপাতার আবাদ করেছিলেন। এতে সার-কীটনাশকসহ খরচ হয়েছিল ৬ হাজার ৮৭৫ টাকা। তিনি আশা করছেন, এই ধনেপাতা বিক্রি করে এবার ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় হবে।

এদিকে কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে ২৫-৩০ টাকায় প্রতি কেজি ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতা কামরুল ইসলাম বলেন, রবি মৌসুমের শুরুতে ধনেপাতা প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। বর্তমানে বাজারে নতুন পাতা আসায় দাম কমেছে। তবে শীতের শেষে আবারও দাম বাড়তে পারে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিধু ভূষন রায় জানান, ধনেপাতা কম সময়ে ও কম খরচে অল্প জমিতে উৎপাদন করা সম্ভব। সবসময় চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাওয়া যায়। তাই রবি মৌসুমের ফসল হওয়া সত্ত্বেও কৃষকরা ১২ মাসই ধনেপাতার আবাদ করছেন। উর্বর জমিতে কোনো রকম সার ছাড়াই দু-তিনবার ধনেপাতার আবাদ করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর