শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভোগান্তির এক ট্রেন যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ভোগান্তির এক ট্রেন যাত্রা

দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর রহনপুর-রাজশাহী-ঈশ্বরদী রুটে চালু হয় কমিউটার ট্রেন। চার বছর পর সেই ট্রেন এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে কাঙ্ক্ষিত যাত্রীসেবা দিতে পারছে না ট্রেনটি। এর ওপর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, ট্রেনটির টিকিট পরীক্ষকদের ভেল্কিবাজির। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট জিয়াউল হাসান জানান, বর্তমানে ৭টি বগি নিয়ে ট্রেনটি রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুর ও ঈশ্বরদী রুটে চলাচল করছে। এর আসন সংখ্যা ৬৩২টি। কিন্তু এসব রুটে চলাচলের সময় ট্রেনের অর্ধেক টিকিটও বিক্রি হয় না। স্টেশন মাস্টার আনিসুর রহমান জানান, প্রতিদিন সকাল ৭টায় ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ৯টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছাড়ে। বেলা ১টায় ট্রেনটি আমনূরা হয়ে রাজশাহী আসে। বেলা ৩টায় ট্রেনটি আবারও রহনপুরের উদ্দেশে রাজশাহী স্টেশন ছাড়ে। এরপর রাত ৭টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি আবারও রহনপুর থেকে রাজশাহী আসে। অতঃপর ঈশ্বরদী চলে যায়।

রাজশাহী  রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-ঈশ্বরদী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলাচলকারী কমিউটার ট্রেনটি প্রতিদিনই যাত্রীভর্তি থাকে। কিন্তু ট্রেনটির আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিটও বিক্রি হয় না। অথচ ট্রেনে আসন সংখ্যার বিপরীতে অধিক যাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু যাত্রীরা টিকিট না করায় লোকসান গুণতে হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। রহনপুর-রাজশাহী রুটে কমিউটার ট্রেনে নিয়মিত চলাচল করেন নগরীর একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা ফাইজুল আলম। তিনি জানান, ট্রেনের বিভিন্ন বগির বসার আসন নষ্ট হয়ে গেছে। আবার কোনোটির আসনই ভেঙে গেছে। এ ছাড়া ট্রেনে ফ্যানের ব্যবস্থা থাকলেও চলে না। আর ট্রেনের টয়লেটের অবস্থা ব্যবহারের অনুপোযোগী। সব মিলিয়ে ট্রেনের ভিতরের পরিবেশটি একেবারেই যাতায়াতের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিফ অপারেটিং অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, ‘অর্ধেক টিকিট বিক্রির বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া াত্রীসেবার মান বাড়ানোর জন্য ট্রেনটির বগিগুলো সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর