শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

নতুন বাজেটের প্রস্তুতি শুরু

মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাছ থেকে ইতিমধ্যে বাজেটের চাহিদাপত্র এবং প্রস্তাবনা চেয়েছে এনবিআর ও অর্থবিভাগ পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্টেকহোল্ডারসহ থিঙ্কট্যাংকারদের কাছ থেকেও প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে

মানিক মুনতাসির

নতুন বাজেটের প্রস্তুতি শুরু

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে অর্থবিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাছ থেকে ইতিমধ্যে বাজেটের চাহিদাপত্র এবং প্রস্তাবনা চেয়েছে এনবিআর ও অর্থ বিভাগ। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্টেক হোল্ডারসহ থিঙ্ক ট্যাংকারদের কাছ থেকেও প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে। এদিকে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপি প্রণয়নের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে চাহিদাপত্র চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। আর প্রাক-বাজেট আলোচনা শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। যদিও প্রতি বছর মার্চের মাঝামাঝি সময়ে প্রাক-বাজেট আলোচনাসহ নতুন বাজেট প্রণয়নের সব ধরনের কার্যক্রম শুরু হয়। এ বছর আগে থেকেই তা শুরু করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলেছেন, আগামী বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। আর ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় কিছু সুপারিশ উঠে এসেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য আগামী বাজেট থেকে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করতে চায় সরকার। যদিও এসডিজি অর্জনের জন্য পরিকল্পনা তৈরিসহ অন্যান্য বিষয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে আরও আগে। এবারের বাজেটে খাতওয়ারি কিছু উদ্যোগ থাকবে যেগুলো মূলত এসডিজি অর্জনের লক্ষ্য।

অর্থ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, শিক্ষা-স্বাস্থ্য বাদে আরও তিনটি খাতকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। এগুলো হলো— মানব সম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও কৃষি খাত। ইতিমধ্যে এনবিআর, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বাজেট তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কাছে বাজেট প্রস্তাবনা চেয়ে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছে এনবিআর। অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, আগামী বাজেটের আকার হতে পারে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। চলতি বছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে প্রতি বছরের মতো এ বছরও শতাংশের হিসাবে ১৮-২০ শতাংশ হারে বাজেট বৃদ্ধি পেতে পারে। নতুন বাজেটে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার (জিডিপি) ধরা হতে পারে সাড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি বাজেটে জিডিপির টার্গেট ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২      শতাংশ। আর চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। প্রতিবারের মতো এবারও থিঙ্ক ট্যাংক, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, এনজিওসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে পর্যায়ক্রমিক প্রাক-বাজেট আলোচনা আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু করতে যাচ্ছে এনবিআর। জানা গেছে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ চলতি বাজেটে যেসব মেগা প্রকল্পের জন্য পৃথক বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা বাস্তবায়নের সামগ্রিক চিত্র আগামী বাজেট বক্তৃতায় তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর