মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
সোনা চোরাচালান

বিমানের ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোনা চোরাচালানের দুই মামলায় ঢাকার নিম্ন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১০৬ কেজি ও ১২৪ কেজি সোনা উদ্ধারের ঘটনায় এ দুটি মামলা করা হয়। গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ১২৪ কেজি সোনা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী কমিশনার গোলাম সাকলায়েন। আর ১০৬ কেজি সোনা উদ্ধারের মামলায় অভিযোগপত্র সম্প্রতি আদালতে দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১০৬ কেজি সোনা চোরাচালানের মামলায় বাংলাদেশ বিমানের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আর ১২৪ কেজি সোনা উদ্ধারের মামলার অভিযোগপত্রে বিমানের সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম রয়েছে। এ মামলায় মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযোগপত্র এরই মধ্যে আদালতে এসেছে। আগামী ধার্য দিনে অভিযোগপত্রগুলো আদালতে উপস্থাপন করা হবে। পরবর্তী সময়ে মামলা দুটি বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হবে।

অভিযোগপত্রের আসামিরা হলেন বাংলাদেশ বিমানের জুনিয়র সিকিউরিটি অফিসার কামরুল হাসান, বিমানের সুইপিং সুপারভাইজার আবু জাফর, বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক মো. মাসুদুর রহমান, মেকানিক অ্যাসিস্ট্যান্ট আনিস উদ্দিন ভূঁইয়া, মেকানিক মজিবর রহমান, জুনিয়র ইন্সপেকশন অফিসার মো. শাহজাহান সিরাজ ওরফে বাবুল, বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসার সালেহউদ্দিন, নেপালের নাগরিক গৌরাঙ্গ রোসান, তার সহযোগী বাংলাদেশি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী মিলন শিকদার, সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আবদুল বারেক তরফদার, ব্যবসায়ী সালেহ আহম্মদ খান, ব্যবসায়ী মানিক মিয়া, ব্যবসায়ী সুব্রত কুমার দাস ওরফে লিটন, ব্যবসায়ী এস এম নুরুল ইসলাম, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী সালেহ আহম্মেদ, মো. রায়হান আলী, সিরাজুল ইসলাম ও জসিমউদ্দিন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৭০২ ফ্লাইটে ১২৪ কেজি সোনার চালান ধরা পড়ে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগপত্রে বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজ, এস এম আবদুল হালিম, এয়ারক্রাফট মেকানিক অ্যাসিস্ট্যান্ট আনিছ উদ্দিন ভূঁইয়া, এসি মেকানিক নিয়াজ মাহমুদ, এয়ারক্রাফট মেকানিক মিলন খন্দকার, সহকারী মেকানিক ইমরান, এসি মেকানিক শেখ হারুন আর রশিদ, এসি মেকানিক মতিন মিয়া, জুনিয়র টেকনিশিয়ান সিরাজুল ইসলাম ও জুনিয়র টেকনিশিয়ান এস এম হালিমকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৫ জনের নাম রয়েছে অভিযোগপত্রে। তদন্ত কর্মকর্তা ১০ জনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন। আরেক মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল দুবাই থেকে আসা একটি বিমানের সাতটি টয়লেট থেকে ১০৬ কেজি সোনা উদ্ধার করেন শাহজালাল বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা। উদ্ধার করা সোনার দাম প্রায় ৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় গোয়েন্দা ও তদন্ত শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মফিজ উল্লাহ রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

সর্বশেষ খবর