বুধবার, ৮ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের আহ্বান

ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, আইওআরএ সামিটে জোর দিলেন সমুদ্র সহযোগিতায়

প্রতিদিন ডেস্ক

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আইওআরএ সামিটে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন —পিআইডি

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা বলে মন্তব্য করে তাদের ফেরত পাঠাতে ইন্দোনেশিয়ার সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ‘আইওআরএ লিডার্স সামিট’র সাইড লাইনে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের শরণার্থীরা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা এবং এর সমাধান প্রয়োজন। মিয়ানমারের শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইন্দোনেশিয়াকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ রোহিঙ্গা সংকটের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়া অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে জানতে সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র সচিব ঢাকা ও ইয়াঙ্গুন সফর করেছেন। জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছাড়াও শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। এছাড়া আরব আমিরাত, জাপান ও ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী আইওআরএ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান। তিন দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ বুধবার বিকেলে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের রেল  যোগাযোগ খাতে ইন্দোনেশিয়া আরও সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ২৫০টি রেলের বগি সরবরাহ করায় ইন্দোনেশিয়া সরকারের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে ব্যাপক উন্নয়নের খণ্ডচিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোসহ বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে ওষুধ শিল্পে যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, ইন্দোনেশিয়া এলএনজির প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক দেশ। দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে এ ক্ষেত্রেও সম্ভাব্য পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে উইদোদো তা সাদরে গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে উইদোদো বলেন, তার সফরের বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী দুই মাসের মধ্যে ইন্দোনেশীয় সরকারের একটি মন্ত্রিপর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। এ বছরেই ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও এ সময় পররাষ্ট্র সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এফটিএ দ্রুত স্বাক্ষরে সম্মত ঢাকা-কলম্বো : বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করার জন্য দ্রুত প্রক্রিয়া চালাতে সম্মত হয়েছে। শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশেষ করে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও কীভাবে বৃদ্ধি ও জোরদার করা যায়, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষর প্রক্রিয়া আলোচনার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। দু’নেতাই এটি স্বাক্ষরের জন্য প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। শেখ হাসিনা কোনো এক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসতে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানান।

ভিসা সহজ করতে আমিরাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান : বাংলাদেশি নাগরিকদের বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রদান ব্যবস্থা সহজ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রী ড. মাইথা সালেম আল-শামসি আজ জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে  গেলে তিনি এ অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের জবাবে ইউএইর প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভায় তার সংশ্লিষ্ট সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান। জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নবু কিশিও একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জাপানের প্রতিমন্ত্রী সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনে জাপান একটি বড় প্রতিনিধি দল পাঠাবে। ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংও একই জায়গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি আগামী এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসব সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আবদুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আজমল কবির উপস্থিত ছিলেন।

সমুদ্র সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরের জন্য সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করতে আইওআরএ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বাসসের।

গতকাল জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) সামিটে ‘একটি শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরের জন্য রিম সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদারকরণ’ শীর্ষক সাধারণ বিতর্ক অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের জন্য দক্ষ নাবিক তৈরিতে বাংলাদেশে ভারত মহাসাগর কারিগরি ও বৃত্তিমূলক একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে মহাসাগর ও সমুদ্রপথ উন্নয়নের মাধ্যমে রিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশকে রূপান্তরের প্রচেষ্টা চালানো। আসুন, সামুদ্রিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করি।... আসুন একসঙ্গে তরী ভাসাই।’ শেখ হাসিনা আইওআরএ নেতৃবৃন্দের প্রতি সমুদ্রগামী নাবিকদের নিরাপত্তা এবং পেশাগত অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের দক্ষতা ও নিবেদিত কার্যপ্রণালি কখনো কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছে।

 বাংলাদেশকে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এর সমুদ্রসম্পদ টেকসইভাবে ব্যবহারের ওপরই ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামাজিক কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এজন্য আমরা এসডিজি-১৪-কে আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করেছি এবং সমুদ্র অর্থনীতির দিকে আমাদের মনসংযোগ নবায়ন করেছি।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় সমুদ্রসীমানা নিয়ে পাশের দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ বিরোধ মীমাংসা আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা এ বিষয়টিতে সম্পূর্ণভাবেই অবগত যে, সমদ্র এলাকার সম্পদ আহরণের সামর্থ্যের ওপরই আমাদের এই সাফল্য নির্ভর করছে।’

প্রধানমন্ত্রী সমুদ্র অংশীদারিত্ব জোরদারে ‘আইওআরএ কনকর্ড’ এবং তার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য ‘আইওআরএ’ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘যদি ব্লু ইকোনমিকে আমাদের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির কৌশল হিসেবে গ্রহণ করতে হয় তাহলে আমাদের সমুদ্রকে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধ হিসেবে ব্যবহার করে এ অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমন এবং সমুদ্রপথ ব্যবহারের স্বাধীনতা ও আইওআরএ’র কৌশল অনুযায়ী সহযোগিতাকে জোরদার করতে হবে।’ তিনি বলেন, ব্লু ইকোনমি এখন সব আইওআরএ সদস্য রাষ্ট্রেরই অভিন্ন স্বার্থ। শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রশ্নে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির উল্লেখ করে বলেন, ‘ব্যাপক অর্থে আমাদের এই নীতির আওতায় নিরাপদ সমুদ্র এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তাজনিত বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা প্রতিহত করায় আইওআরএ’র যে ঘোষণা তা আইওআরএ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করবে। জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মনে করে টেকসই জ্বালানি অনুসন্ধানের জাতীয় প্রচেষ্টার বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রভাব ইতিবাচক। শান্তি ও উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যোগাযোগকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। তবে আমরা শুধু অবকাঠামোগত যোগাযোগই নয়, চিন্তা-চেতনা, উদ্ভাবন, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে মানসিক যোগাযোগও স্থাপন করতে চাই। বিশেষ করে মানবীয় যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা।’ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা এখনো জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কাছে জিম্মি এবং এর মানে হলো আমরা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ভীতিকর অবস্থার দিকেই অগ্রসর হচ্ছি।’ তিনি বলেন, এটা অনুমিতই যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ তার মহামূল্যবান কৃষিজমির এক তৃতীয়াংশ হারাবে এবং প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা জলবায়ুর বৈশ্বিক এই উষ্ণতা সৃষ্টির জন্য দায়ী না হলেও আমরাই সবচেয়ে খারাপ ভুক্তভোগী। জলবায়ুগত ন্যায়বিচার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কাজেই বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেছি।’ আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সামিটের উদ্বোধনী পর্বে যোগ দেন।

সর্বশেষ খবর