বুধবার, ৮ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলা স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাই কোর্ট। এ মামলার আরেক আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিষয়ে হাই কোর্টে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খালেদার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল এবং বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও মাহবুব  উদ্দিন খোকন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে শালিসি আদালতে পেট্রোবাংলা, বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর চুক্তি ও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিরোধের চলমান মামলার যুক্তিতে বাংলাদেশের নিম্ন আদালতে এ মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন মওদুদ আহমদ। এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর মওদুদের নাইকো মামলার কার্যক্রম আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করে হাই কোর্ট। দুদক এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলেও স্থগিতাদেশ বহাল থাকে। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চেই রুলের শুনানি চলছে। এ অবস্থায় একই যুক্তিতে খালেদা জিয়াও মামলার কার্যক্রম স্থগিতে হাই কোর্টে আবেদন করেন।   সেই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেয়। জানা গেছে, সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দুদক নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। পরবর্তী বছরের ৫ মে খালেদা জিয়া, মওদুদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অংশবিশেষের পুনঃতদন্ত চান খালেদা জিয়া : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অংশবিশেষের বিষয়ে পুনরায় তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার পক্ষে আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে আবেদনের ওপরে শুনানি হতে পারে।  আইনজীবী মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা এসেছে  সৌদি আরব থেকে। আসলে এই অর্থ কুয়েতের আমির অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য দিয়েছেন। যে টাকা লাভসহ এখনো ট্রাস্ট ফান্ডে জমা রয়েছে। তাই মামলার এই অংশ পুনঃতদন্তের জন্য বিচারিক আদালতে আমরা আবেদন করলেও তা নাকচ হয়। এর বিরুদ্ধে আমরা হাই কোর্টে রিভিশন আবেদন করেছি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ওই মামলায় এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর