শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

দিনাজপুর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন যাচ্ছে ভারত

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন যাচ্ছে ভারত

প্রায় এক যুগ বন্ধ থাকার পর বিরল সীমান্ত দিয়ে রেলপথে আবার শুরু হলো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি। এ রেলপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি একদিকে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে অন্যদিকে কর্মসংস্থানসহ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। দিনাজপুর অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।

ভারত, নেপাল, ভুটান এবং মিয়ানমারে রেলপথে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের চুক্তি অনুযায়ী বিরল সীমান্ত দিয়ে ডুয়েল গেজ রেলপথে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় পাথরবাহী একটি ট্রেন ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এদিকে, পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, অতি দ্রুত বিরল স্থলবন্দর চালু ও যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল শুরু করার।  দিনাজপুর রেলওয়ে বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, গত বছর পার্বতীপুর থেকে ভারতের রাধিকাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত মিটার গেজকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরিত করা হয়। বিরল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ জানান, দীর্ঘদিন পর  রূপান্তরিত ডুয়েল গেজ দিয়ে ৮ মার্চ  ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন ৪২টি ওয়াগনে ২ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভারত-বাংলাদেশের ট্রেনের এ রুটটি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও লাভবান হবে। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত ভারত এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী ২০০৪ সাল পর্যন্ত মিটার গেজ রেলপথে নেপাল, ভারত এবং মিয়ানমায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে সীমিতসংখ্যক পণ্যবাহী ট্রেন চলত বিরল রেলপথ দিয়ে। ২০০৬ সালে ভারত রাধিকাপুর পর্যন্ত ব্রড গেজ রেলপথ স্থাপন করায় রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে ওই রুটে। ১১ বছর পর বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুর স্ট্রেশন পর্যন্ত ব্রড গেজ রেলপথ সম্প্রসারণ করা হয়। এর আগে ২০০৫ সালে ভারতের অংশে ব্রডগেজ রেললাইন হওয়ায় বাংলাদেশে আর মালবাহী ট্রেন আসতে পারত না। এতে ২০০৫ সালের মে মাস থেকে বিরল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে দুদেশের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। দিনাজপুর কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার তাহের উল আলম বলেন, ৮ মার্চ ভারত থেকে ৪২ ওয়াগন পাথর বাংলাদেশে এসেছে। এতে বাংলাদেশ সরকারের ১১ লাখ ২ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সহিদুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, রেলপথে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করবে।

সর্বশেষ খবর