শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

নির্দিষ্ট টাইমলাইন থাকতে হবে

—— আবদুল মাতলুব আহমাদ

নির্দিষ্ট টাইমলাইন  থাকতে হবে

সরকার যে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে, তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ধীরগতি এবং বিলম্ব করা হচ্ছে বলে মনে করেন এফবিসিসিআইর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তার মতে, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পুরোপুরি চালুর ব্যাপারে সরকারকে টার্গেট ঠিক করে   টাইমলাইন বেঁধে দিতে হবে। এটা না করলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে আবদুল মাতলুব আহমাদ আরও বলেন, বাংলাদেশে অনেক দিন যাবৎ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য জমির অভাব। এই জমির অভাবে বড় আকারে শিল্প করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়াও যত্রতত্র শিল্প-কারখানায় সরকারের পক্ষে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ এবং সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা প্রায় অসম্ভব। এমন প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে সারা দেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে তিন ধরনের সুবিধায়। একটি হলো— সরকার নিজে করা, আরেকটি বেসরকারি খাতে এবং অপরটি হলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বা পিপিপি ভিত্তিতে। প্রায় ১০টি বেসরকারি খাতে এবং ১৫টি সরকারিভাবে বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। বেসরকারি খাত ধীরগতিতে কাজ করছে। আবার সরকারিগুলোতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক বিলম্ব করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো খাস জমিতে হওয়ার কারণে বিলম্ব হবে। আমার ধারাণা- আরও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। তাই সরকারের উচিত হবে, একটা টার্গেট ঠিক করা। এরপর টাইমলাইন বেঁধে দিতে হবে। না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক জোন বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বেজাকে অনেক সক্রিয় হতে হবে। তাদের আরও দ্রুত গতিতে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে একটি করে মোট দুটি জোন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে সবাইকে উদাহরণ হিসেবে দেখাতে হবে।

সর্বশেষ খবর