সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

পুনরায় সাক্ষ্য চেয়ে খালেদার আবেদন আপিলেও খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে নেওয়া ৩২ জনের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর ফলে ওই ৩২ জনের সাক্ষ্য পুনরায় নিতে হবে না। আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও বদরুদ্দোজা বাদল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। গত ১২ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে নেওয়া ৩২ জনের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের করা আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে খালেদার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে যান। ৬ ডিসেম্বর এ মামলায় বিচারিক আদালতে নেওয়া ৩২ জনের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। ৮ ডিসেম্বর হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ আবেদনের শুনানিতে বিব্রতবোধ করে। এরপর প্রধান বিচারপতি শুনানির জন্য বিষয়টি অন্য বেঞ্চে পাঠান। ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এই মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুদক।

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলা স্থগিতের আদেশ বহাল : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা আবেদনের শুনানি করে গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ‘নো অর্ডার’ দেন। এর ফলে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে। ৭ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। এ মামলার আরেক আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিষয়ে হাই কোর্টে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খালেদার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে শালিসি আদালতে পেট্রোবাংলা, বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর চুক্তি ও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিরোধের চলমান মামলার যুক্তিতে বাংলাদেশের নিম্ন আদালতে এ মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন মওদুদ আহমদ। এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর মওদুদের নাইকো মামলার কার্যক্রম আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করে হাই কোর্ট। দুদক এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলেও স্থগিতাদেশ বহাল থাকে। এ অবস্থায় একই যুক্তিতে খালেদা জিয়াও মামলার কার্যক্রম স্থগিতে হাই কোর্টে আবেদন করেন। উল্লেখ্য, সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দুদক নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। পরবর্তী বছরের ৫ মে খালেদা জিয়া, মওদুদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতি করেছেন।

সর্বশেষ খবর