বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

দেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নেই

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, দেশে আইএস বা আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। যারা আছে তারা দেশীয় জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। কয়েক বছর ধরে আমরা বিশ্বে জঙ্গিবাদ  ও সন্ত্রাসবাদের উত্থান প্রত্যক্ষ করছি। এর ‘স্পিলওভার এফেক্ট’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট  (আইএস) বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর উপস্থিতি নেই। তবে আমাদের অ্যালার্ট থাকতে হবে যেন আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠন লোকাল জঙ্গিদের প্রভাবিত না করতে পারে। গতকাল ১৪ দেশের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গিরা হোম গ্রোন। আজ পর্যন্ত বিদেশি কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব বিস্তারের একটা চেষ্টা থাকতে পারে। সেজন্য বাংলাদেশ মনে করে, আন্তদেশীয় সহযোগিতা থাকা জরুরি। বাংলাদেশ সরকার জঙ্গিবাদ দমনে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কার্যকর সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে জিরো টলারেন্সে আছেন। আমরা জঙ্গি দমনে কাজ করছি, করে যাব। এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে। আমার মনে হয়, এটি একটি সফল সম্মেলন। প্রথমবারের মতো দেশে এ ধরনের সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করায় তিনি বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। পুলিশ সদর দফতরের সৌজন্যে সম্মেলনের অনুষ্ঠান শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের সহযোগিতায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো ‘ওয়ান টু ওয়ান কমিউনিকেশনে’র (সরাসরি যোগাযোগ) ব্যাপারে একমত হয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের তথ্য বিনিময়ের পাশাপাশি, এক দেশের জঙ্গি অন্য দেশে লুকিয়ে থাকলে তাকে হস্তান্তরে দেশগুলো কাজ করবে। এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি জানান, ফেসবুকের সঙ্গে বাংলাদেশ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে চেয়েছিল। ফেসবুকের নীতিমালায় কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তি করার সুযোগ নেই। তাই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা যায়নি। তবে ফেসবুক বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে একজন ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে। ওই ফোকাল পয়েন্ট ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। অপর প্রশ্নের জবাবে এ কে এম শহীদুল হক বলেন, মিয়ানমার এর আগে কখনো আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। এবারই প্রথম তারা সাড়া দিয়েছে। মাদক সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করতে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহ দেখিয়েছে।

মিয়ানমার ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও চীন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান আইজিপি। তিন দিনব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশ বেশকিছু দেশ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেছে। সম্মেলনটি শেষ হয়েছে একটি যৌথ ঘোষণার মধ্য দিয়ে।

সর্বশেষ খবর