শিরোনাম
শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

মানিকগঞ্জের গাজর যাচ্ছে বিদেশে

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের গাজর যাচ্ছে বিদেশে

মানিকগঞ্জে এবার গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। একদিকে বাম্পার ফলন অপরদিকে ভালো মূল্য পাওয়ায় গাজর চাষিরা রয়েছেন           ফুরফুরে মেজাজে। ঢাকাসহ দেশের সর্বত্রই মানিকগঞ্জের গাজরের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এ গাজর বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। জেলার  সিংগাইর  উপজেলায় গাজরের চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।  সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টব, কিটিংচর, খড়ারচর, ভাকুম, দুর্গাপুর ও আজিমপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শত শত কৃষক গাজর চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। লাভজনক হওয়ায় নিজেদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে গাজর চাষের দিকে ঝুঁকছে এই অঞ্চলের অন্য কৃষকরা। গাজর চাষি মো. হারুনার রশিদ জানান,  এবার পঁচিশ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। হিমাগারের অভাবে প্রতি বছর মৌসুমে সস্তা দামে  এসব গাজর বিক্রি করতে বাধ্য হই।

 গাজর রাখার জন্য মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি মাত্র হিমাগার। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আমি ফতুল্লা, গেণ্ডা, জিরানীসহ বিভিন্ন স্থানের হিমাগারে গাজর রেখে বিক্রি করেছি। অতদূরে গাজর নিতে পরিবহন খরচ বেশি হয়। তাছাড়া বীজের দাম অনেক বেশি। এক কেজি বীজের দাম ১২ হাজার টাকা। যা মাত্র একবিঘা জমিতে বপন করা যায়। সরকার যদি বীজের দাম কমাতো তাহলে আরও অনেক কৃষক গাজর চাষ করতো। মানিকগঞ্জে আরও  হিমাগার নির্মাণ করা হলে এখানকার  কৃষকরা লাভবান হতো।  মাত্র ২ মাস গাজর সংরক্ষণ করা গেলেই প্রায় দ্বিগুণ দামে গাজর বিক্রি হয়। মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে এই অঞ্চলে এবার ৪২ হাজার মেট্রিক টন গাজর উৎপাদন হবে  বলে ধারণা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক  মো. আলীমুজ্জামান মিয়া বলেন, পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার গাজরের ফলন ভালো হয়েছে। এছাড়া   সময়মতো সার, বীজ, কীটনাশক পাওয়ায় কৃষকদের কোনো ভোগান্তি হয়নি। এ জেলার গাজর সুস্বাদু হওয়ায় দেশব্যাপী এর চাহিদা বেশি।  মানিকগঞ্জের গাজর দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বীজের মূল্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এদেশে এখনো গাজরের বীজ উৎপন্ন হয় না তাই দাম বেশি। এদেশে বীজ উৎপন্ন হলেই দাম কমে যাবে।

সর্বশেষ খবর