শিরোনাম
সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা

সাখাওয়াত কাওসার ও আলী আজম

প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। খুন-ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন ও অপরাধী গ্রেফতারে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা সফলতা পাচ্ছে। আর এ কারণে উন্নত দেশের আদলে বাংলাদেশেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রায় প্রতিটি বিভাগেই সংযোজন করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

ওয়েবসাইট, ডাটাবেজ, নেটওয়ার্কিং, ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন, কমিউনিকেশন সার্ভার, সিসি ক্যামেরা, সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারসহ প্রযুক্তির নানা দিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এগিয়ে নিচ্ছে বহুদূর। এতে জনগণের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের অভ্যন্তরীণ কাজেও গতি আসছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আধুনিক সমাজব্যবস্থায় অপরাধেও এসেছে বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশে আধুনিক প্রযুক্তি, যানবাহন, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামাদি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। তাই প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে বাহিনীর সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে দেশে-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণ। পুলিশ, র‍্যাব ছাড়াও প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে দেশের কারাগারগুলোতেও।

ওয়েব বেজড প্রিজন ভ্যান : আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কারাগারে বন্দী পরিবহনে সংযোজিত হয়েছে ওয়েব বেজড প্রিজন ভ্যান। ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে বন্দী ছিনতাইয়ের পরই বিষয়টি নিয়ে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। কারা কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ওয়েব বেজড প্রিজন ভ্যান চালু করলেও খুব শিগগিরই চালু করবে পুলিশ। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জঙ্গি-ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং ভিআইপি বন্দীদের আনা-নেওয়ার জন্য আপাতত দুটি অত্যাধুনিক প্রিজন ভ্যান ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রিজন ভ্যানে অবস্থানরত বন্দীরা কী করছেন? ভ্যানটির অবস্থান কোথায়? কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে এর পুরোটাই সরাসরি দেখতে পাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কারাগার থেকে কারাগারে বন্দী পরিবহনের জন্য অত্যাধুনিক এই প্রিজন ভ্যান ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আদালতে বন্দীদের হাজিরার বিষয়টি পুলিশের আওতায় পড়ে। যতদূর জেনেছি পুলিশ বাহিনীতেও অত্যাধুনিক প্রিজন ভ্যান সংযোজিত হচ্ছে। র‍্যাব-প্রিজন ইনমেট ডাটাবেজ : অপরাধীদের ১০ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের মণির স্ক্যানিংসহ ২০০ ধরনের তথ্যসংবলিত ডাটাবেজ চালু করেছে র‍্যাব ও কারা কর্তৃপক্ষ। খুব শিগগির এটা পাসপোর্ট অধিদফতরের এমআরপি ডাটাবেজের সঙ্গেও যুক্ত হতে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ডাটাবেজে সংযুক্ত হবে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন বিভাগ। ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি র‍্যাব সদর দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর উদ্বোধন করেন। আপাতত ইনমেট ডাটাবেজে ৩৫টি কারাগারে প্রায় এক লাখ বন্দীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ২০১০ সালে এই ডাটাবেজ তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে র‍্যাবের পক্ষ থেকে ক্রিমিনাল ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়ে সারা দেশের ৫০ হাজার কয়েদির তথ্য নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। পরবর্তীকালে কারা কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে নতুন নতুন ফিচার সংযুক্ত করে র‍্যাব-প্রিজন ইনমেট ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। এই তথ্যভাণ্ডারে র‍্যাবের আগে তৈরি করা ২৮ হাজার কয়েদির তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে। কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার আহমেদ বলেন, পর্যায়ক্রমে প্রতিটি কারাগার ইনমেট ডাটাবেজের আওতায় আসবে। নতুন করে এখন কারাগারে যারাই ঢুকছেন, তাদেরই বিস্তারিত তথ্য, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

মোবাইল অ্যাপস : অপরাধসংশ্লিষ্ট তথ্য বিশেষ করে জঙ্গিবাদ, বোমা ও বিস্ফোরকসংক্রান্ত অস্ত্র ও মাদকবিষয়ক তথ্য, সাইবার ক্রাইম ও আন্তদেশীয় অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের জন্য ‘হ্যালো সিটি’ ও ‘রিপোর্ট টু র‍্যাব’ অ্যাপস নামে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া ‘বিডি পুলিশ হেল্পলাইন’ অ্যাপস ব্যবহার করে অপরাধ ও অপরাধী সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য সরাসরি সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছে পাঠানো যাবে। এতে দ্রুততম সময়ে পুলিশি সেবা নিশ্চিত হবে। কেবল তথ্যই নয়, ঘটনার ছবি, ভিডিও এবং ভয়েসও পাঠানো যাবে। পস মেশিন : চলমান সব ধরনের গাড়ির মামলা-জরিমানা ডিজিটাল পয়েন্ট অব সার্ভিস (পস) মেশিনে করা হচ্ছে। পস মেশিনে মামলার পর তত্ক্ষণাৎ রাস্তাতেই গ্রাহকরা ব্যক্তিগত ইউক্যাশ ও ইউক্যাশ পয়েন্টের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ করতে পারবেন। পরে গাড়ির কাগজপত্র কুরিয়ারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে চলে যাচ্ছে। কেউ ইচ্ছা করলে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশ অফিস থেকেও কাগজপত্র তুলতে পারবেন। অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স : ভিসার আবেদন, বিদেশে ভিসা/পাসপোর্ট রিনিউ করা অথবা গ্রিন কার্ড/ওয়ার্ক পারমিটের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন। সেবাপ্রত্যাশীদের উন্নত ও দ্রুত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ চালু করেছে অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সেবা। ফলে খুব সহজে ঘরে বসে কেবল কয়েক ক্লিকেই আবেদন করা যায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য। এরপর নির্দিষ্ট সময় পর ঘরে বসেই রিসিভ করা যাবে কাঙ্ক্ষিত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। অফিস অটোমেশন : ওয়ান স্টপ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স শাখায় পৃথক ডাটাবেজের মাধ্যমে বিদেশগামী নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। অনলাইনেই এখন যে কেউ ফরম পূরণ করে তা জমা দিতে পারেন। এর বাইরেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোয় বিভিন্ন পণ্যের মজুদ তাত্ক্ষণিক নিরূপণ করা এবং পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দ্বারা গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়মিত মাসিক বেতন রোল তৈরি করা হচ্ছে। আন্তবিভাগগুলোর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে। ঢাকা মহানগর পুলিশের সব থানা, ডিসি অফিস, মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস অফিস রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। আন্তশাখা যোগাযোগের জন্য ইন্ট্রামেইল সংযোগ চালু রয়েছে। ডাটাবেজ : ৩৪ হাজার জনবলসংবলিত ডিএমপির এবং র‍্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়নে অপরাধীদের ডাটাবেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষায়িত সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লথিং স্টোর ডাটাবেজ, ডি স্টোর ডাটাবেজ ও ডিসিপ্লিন ডাটাবেজ চালু রয়েছে। ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ডাটা নিয়মিতভাবে পিআইএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপডেট করা হচ্ছে। পরিবহন শাখায়ও গাড়ি ও চালকসংক্রান্ত তথ্যাবলি পৃথক ডাটাবেজের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সিডিএমএস : পুলিশের তদন্তের গুণগত মান উন্নয়নে অপরাধী এবং অপরাধ চিহ্নিতকরণ ও উদ্ঘাটনে কার্যকর ভূমিকা পালনকারী ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যার। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে সক্ষমতা অর্জনের জন্য নিয়মিত সিডিএমএস প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। সিআইএমএস সফটওয়্যার : সিআইএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডিএমপির অপরাধ বিভাগগুলোর বিট পুলিশিংয়ের আওতাধীন বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের তথ্যাদি সংরক্ষণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া এবং মেস সদস্যদের তথ্য আলাদাভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী প্রতিটি পরিবারের ডাটাবেজ তৈরির কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। ডাটা রিকভার ফরেনসিক ল্যাবরেটরি : ডাটা পুনরুদ্ধারের জন্য সিআইডি, ডিএমপি ও র‍্যাবের অত্যাধুনিক ফরেনসিক ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। তথ্যাদি উদ্ঘাটনে ডাটা রিকভার ফরেনসিক ল্যাবরেটরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সিটি সার্ভিল্যান্স সিস্টেম : ডিএমপিতে পরীক্ষামূলকভাবে মহানগরীর প্রবেশের ১৪টি পথে আধুনিক প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট গাড়ির ব্যাপারে যদি তথ্যের প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে ডাটাবেজে ওই গাড়ির তথ্য জমা থাকলে গাড়িটি সিটি সার্ভিল্যান্স সিস্টেমের যে কোনো একটি সিসি ক্যামেরার আওতায় এলেই কন্ট্রোল রুম এ স্থাপিত মনিটরিংয়ে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। পাশাপাশি ড্যাটাবেজ থেকে উক্ত গাড়িটির অবস্থানও পাওয়া যাবে। ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন প্রসেস : ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ঢাকা মহানগর এলাকার যানবাহন চলাচল স্বচ্ছন্দময় করার লক্ষ্যে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন পদ্ধতির প্রবর্তন করেছে। ‘ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন প্রজেক্ট’-এ পুশ-পুল (এসএমএস) সার্ভিস, কেস অ্যান্ট্রি অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম, পেমেন্ট কালেকশন এবং ডকুমেন্ট হস্তান্তরের মাধ্যমে পুরো ট্রাফিকব্যবস্থাকেই ডিজিটাল করা হয়েছে। ‘ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন প্রসেস’ প্রজেক্টে ইউসিবিএল ব্যাংকে ট্রাফিক জরিমানার অর্থ আদায়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ট্রাফিক জরিমানার অর্থ আদায়ের প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুত করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং ‘ইউ-ক্যাশ’ কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড, ডেবিট কার্ড ও অন্যান্য ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে জরিমানার অর্থ পরিশোধের প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ-র‍্যাব ওয়েবসাইট : র‍্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের সেবার পরিচিতি, সাংগঠনিক পরিচিতি, টেলিফোন ডিরেক্টরি, সেবাপ্রাপ্তির উপায় এবং উপকরণসংবলিত একাধিক ওয়েবসাইট অনেক বেশি পূর্ণাঙ্গ ও তথ্যসমৃদ্ধ। ঢাকা মহানগর এলাকায় সংঘটিত ঘটনাবলি ডিএমপি ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে। এ ছাড়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি যে কোনো ধরনের অভিযোগ, মতামত ও সংবাদ প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার নাগরিকদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেছেন। সিসিটিভি মনিটরিং : ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি প্রবেশ ও বাহির পথে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আবদুল গনি রোডের সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারসহ রাজধানীর অন্য কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে স্থাপিত সব সিসিটিভিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়। এতে ঢাকা মহানগরীর অনেক পরিকল্পিত দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে এবং অপরাধীকে শনাক্ত করা সহজ হচ্ছে। ভেহিক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার : পরিবহন বিভাগের ভেহিক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার দ্বারা পরিবহন বিভাগের যানবাহন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পণ্যের যাবতীয় তথ্য ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। গাড়ির ধরন-প্রকৃতি, মূল্য, মেয়াদ, বরাদ্দ, সার্ভিসিং কাল ইত্যাদি যথাসময়ে জানা ও রুটিন অনুযায়ী গাড়ির সার্ভিসিং করা সম্ভব হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর