সাম্প্রতিক বৃষ্টি স্বাভাবিক নিয়মে হয়নি। তবুও এতে এবারের কৃষি ফলন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বিপরীতে আগামী এপ্রিল ও মে’র দিকে দেশের তাপমাত্রা হয়ে উঠবে অসহনীয়। এ অবস্থাকে আবহাওয়াবিদদের ভাষায় ‘থাম রুল’ বলা হয়। আবহাওয়াবিদরা জানান, অস্বাভাবিক আবহাওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনেরও কিছুটা প্রভাব রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ গবেষণার বিশদ তথ্য জানাতে পারেননি আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান।
সাম্প্রতিক হয়ে যাওয়া বৃষ্টিপাত সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, চৈত্রের বৃষ্টিপাতটি সোমবারই শেষ হয়ে গেছে। আর নতুন করে বৃষ্টিপাত হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৭-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো প্রভাব রয়েছে কিনা বা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশদ গবেষণা হচ্ছে কিনা, সে সম্পর্কে তিনি সঠিকভাবে অবগত নন। সোমবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে বৃষ্টির এই পরিমাণ রেকর্ড হয়েছে। এদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও বয়ে গেছে দমকা হাওয়া। হঠাৎ এই বৃষ্টিতে পাল্টে গেছে চৈত্রের চিরাচরিত রূপ। ছন্দপতন ঘটেছে নাগরিক জীবনে। ব্যতিক্রম ঘটনা আবহাওয়ার স্বাভাবিকতার। বৃষ্টি আগের রাতেও ছিল।
নগরবাসী জানিয়েছেন, এই বৃষ্টির ফলে সংস্কারকাজ চালু থাকা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। খানা-খন্দে ভরা রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ পথচারীরা। আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. শামীম হাসান ভূঁইয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এই বৃষ্টিপাতটি ব্যতিক্রম। আসলে এই সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এতে কৃষির জন্য উপকার হয়েছে। কারণ এখন কৃষকরা সেচ দিয়ে চাষাবাদ করছে। আর বৃষ্টি হওয়ায় সেই সেচের কোনো প্রয়োজন নেই। বৃষ্টির পানির ফলে ফলনও ভালো হবে। আমরা এ বছর ভালো ফলন হবে বলে আশা রাখতে পারি।’ তিনি এও বলেন, কৃষিকাজের জন্য এই বৃষ্টি ভালো ফল দিলেও আগামী এপ্রিল ও মেতে তাপমাত্রার অসহনীয় পর্যায় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ আগাম বৃষ্টিতে সেই সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। বলা যায়, এটা জলবায়ু পরিবর্তনের কিছুটা প্রভাবের ফলে হয়েছে।