বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
জাল জামিনে ১০৬ জন মুক্ত

পাঁচজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

জালিয়াতির মাধ্যমে শতাধিক আসামিকে কারামুক্ত করার দায়ে আদালতের পেশকার-পিওনসহ পাঁচজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তদন্তে গাফিলতির কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক শফিউল্লাহর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

গতকাল ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকার ২ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বরখাস্তকৃত পেশকার মোসলেহ উদ্দিন, পিয়ন শেখ মো. নাঈম, উমেদার (অবৈতনিক অস্থায়ী কর্মী) ইসমাইল, আলমগীর ও জাহাঙ্গীর। এদের মধ্যে আলমগীর ও জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন। অন্য তিনজনকে রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর আদালতে হাজির তিন আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া পলাতক দুই উমেদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বিষয়ে ২০১৫ সালের ১২ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ বিচারকের নকল স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে ভুয়া জামিননামা তৈরি করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর বিরল জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন নাজির উবায়দুল্লাহ করিম আকন্দ বাদী হয়ে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, রায়ে প্রত্যেক আসামিকে পৃথক দুটি ধারায় সাত বছর করে মোট ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুটি অপরাধে ১০ হাজার টাকা করে প্রত্যেককে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আসামিরা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জামিননামা তৈরি করে ৭৬টির মামলায় ১০৬ জন আসামিকে কারাগার থেকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করেছেন। অথচ সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে কাউকেই জামিন দেওয়া হয়নি। আদালতের কর্মচারী হয়েও এ ধরনের জালিয়াতি করে আসামিরা ঘৃণ্য অপরাধ করায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কাম্য।

সর্বশেষ খবর