শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রাণভিক্ষা চাইবে জঙ্গি রিপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবে বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

হরকাতুল জিহাদের এই জঙ্গিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। সেখানেই গতকাল দুপুরে  সে প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান। জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগির মিয়া বলেন, ‘আপিল বিভাগে রিভিউ খারিজের রায় এবং বিচারিক আদালতের পরোয়ানা পড়ে শোনানো হলে বুধবার রিপন বলেছিলেন, স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন। আজ বেলা ১২টার দিকে রিপন বলেছেন, তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন। আবেদন করার জন্য তিনি সাত দিন সময় পাবেন। সেই দিন গণনা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে।’ এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল আছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। তারাও প্রাণভিক্ষা চাইবেন বলে বুধবার কারা কর্তৃপক্ষকে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১ মে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী গ্রেনেড হামলার মুখে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন নিহত হন। এ ছাড়া পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি হাসপাতালে মারা যান। আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন ওই ঘটনায় আহত হন। ওই ঘটনায় করা মামলার চূড়ান্ত রায়ে আপিল বিভাগ গত বছর ৭ ডিসেম্বর তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল রাখেন।

এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। আপিল না করায় তাদের ওই সাজাই বহাল থাকে।

মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার ক্ষণ গণনা শুরু : গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, ‘মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির দাফতরিকভাবে আমরা বুধবার মৃত্যু পরোয়ানাসহ রায়ের কপি পেয়েছি। সেটি এখন জেলকোড অনুযায়ী কার্যকর করা হবে। গতকালই (বুধবার) রায় পড়িয়ে শুনিয়েছি এবং আমাদের ক্ষণ গণনা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। যেহেতু তিনি (মুফতি হান্নান) জেলকোড অনুযায়ী সাত দিন সময় পাবেন, তাই সাত দিন সময় তাকে দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি সাত দিনের মধ্যেই জানাবেন প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না। তবে এখনো পর্যন্ত তিনি কিছু বলেননি। এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো খবর নেই যে তারা আবেদন করবেন কি করবেন না। এটা আমি মিডিয়া থেকে জানছি যে তারা বলেছেন।’ গতকাল গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার কমপ্লেক্সে ৪৯তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের শপথ গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর