শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

সীমার ২৯ দফার পর সাক্কুর ২৭

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

সীমার ২৯ দফার পর সাক্কুর ২৭

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ২৯ দফা ইশতেহার ঘোষণার পর গতকাল বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ২৭ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এতে তিনি পুরাতন গোমতী নদীতে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ার কথাও বলেছেন।

নগরীর ধর্মসাগরপাড়ে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, মনিরুল হক চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া ও মহানগর জামায়াত আমির দীন মুহাম্মদ। ইশতেহারে সাক্কু উল্লেখ করেন, তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা এবং যানজট সমস্যা নিরসন করবেন। ১১ পৃষ্ঠার ইশতেহারে তিনি বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি ফ্লাইওভার এবং ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনাও আমার আছে। আগামীতে কোনো নাগরিকের হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হবে না। সিটি করপোরেশন থেকে নতুন কোনো করের বোঝাও কারও ওপর চাপানো হবে না। আগামী পাঁচ বছরে বিদ্যমান স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন করে কুমিল্লা মহানগর সদর দক্ষিণ এলাকার কোটবাড়ীকে কেন্দ্র করে একটি শিক্ষা নগরী গড়ে তোলা হবে। উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী নওয়াব ও সমাজ সেবিকা নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর নামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। লালমাই ও ময়নামতি পাহাড়ের আদিবাসী নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ত্রিপুরাদের জন্য মাতৃভাষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মণের নামে একটি সংগীত কলেজ স্থাপন করা হবে। মহানগরের পূর্বাঞ্চলে কুমিল্লা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কুমিল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। নগরীর দক্ষিণাঞ্চলে মেয়েদের জন্য দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। নগরীর পশ্চিম অংশে ছেলেদের জন্য একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। সাবেক পৌরসভাগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে উন্নত ও আধুনিক করা হবে। কুমিল্লার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গৌরবকে ধরে রাখার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। কর্মজীবী নারীদের জন্য ইপিজেড এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ হোস্টেল স্থাপন করা হবে। মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাসহ নগরীর বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। একটি স্টেডিয়াম ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিশুদের কল্যাণে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করা হবে। নতুন সব সড়ক ও স্থাপনার নাম কুমিল্লার খ্যাতিমান ব্যক্তি ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হবে। পর্যায়ক্রমে বস্তিবাসীসহ নগরীর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ব্যয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স এবং পানির বিল মওকুফের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একাধিক আইটি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে ফ্রি ওয়াইফাই জোনের আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ খবর