শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

অবশেষে হলো সেতু, উৎসবমুখর একটি জনপদ

জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

অবশেষে হলো  সেতু, উৎসবমুখর একটি জনপদ

কুষ্টিয়ায় এ সেতুই যুক্ত করেছে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের —বাংলাদেশ প্রতিদিন

শহরের গা ঘেঁষে থাকলেও গড়াই নদী শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ও কয়া ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষকে। অবশেষে ‘শেখ রাসেল সেতু’ তাদের জুড়ে দিল কুষ্টিয়া শহরের সঙ্গে। গতকাল বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেতুর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দুই ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘ ৩০ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের অবসান ঘটল। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের     ২২ ডিসেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার অ্যাসোসিয়েট এ সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। ৬০৪ মিটার (সুড়ঙ্গ পথসহ) দীর্ঘ ও ৬ দশমিক ১ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট সেতুর উভয় পাশে ৩ ফুট করে ৬ ফুট ফুটপাথ রয়েছে। এ ছাড়া কুষ্টিয়া অংশে ২০০ মিটার ও হরিপুর অংশে ১৯৬ মিটার সংযোগসড়ক হয়েছে। ৪২.০৫ মিটার করে ১২টি স্প্যানের প্রতিটিতে রয়েছে ৪টি গার্ডার। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯৭ কোটি টাকা। নির্মাণ শুরুর প্রায় তিন বছর তিন মাসের মাথায় সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো। মন্ত্রী ছাড়াও এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রশাসক রবিউল ইসলাম, জেলা প্রশাসক জহির রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্থনীয় বাসিন্দা ৯০ বছরের জোনাব আলী সর্দার নদী ও সেতুর দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘পায়ে হাঁটি, গড়াইয়ে সাঁতার কাটি কুষ্টি (কুষ্টিয়া) গিইছি, এহেনে সেতু হবি কল্পনাতেও পাবিনি। শুক্রবার সেতু খুলি দিবি মনে আনন্দ লাগইছে।’

সর্বশেষ খবর