বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুন লাগা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী কৃষক দল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে। কৃষক দল সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তকদির হোসেন জসিম, এম এ তাহের, নাজিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন খান মিলন প্রমুখ বক্তব্য দেন। আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। রিজার্ভ চুরির দুই মাস পর মানুষ তা জানতে পেরেছে ফিলিপাইনের পত্রিকায় সংবাদ হওয়ায়। এটি তদন্ত করা হলেও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে ফিলিপাইন বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিতরের লোকজনই রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত। ব্যাংকের ভিতর থেকেই এ কাজ হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকও একই কথা বলেছে। এ কারণেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে না। আগুন লাগা নিয়ে অনেকে এখন সন্দেহ করছেন। এই সময় আগুন লাগার কারণ কী? এটাই জনগণের প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, এই সফর নিয়েও জনমনে প্রশ্ন আছে। তিস্তা চুক্তি আলোচনার বাইরে চলে গেছে। যে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা নয়। জনগণের চাহিদা হলো তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা। তিনি প্রশ্ন রাখেন, তাহলে কার চাহিদার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর? গণমাধ্যমে যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে, তা হলে সেটি হবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিজস্ব চিন্তা, দর্শন, গোপনীয়তা, কৌশল এবং অহংকার থাকে। এটা বিনিময়ের বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী চুক্তিতে তা করতে পারেন। কিন্তু জনগণ তা মানবে না। এ ধরনের চুক্তি করা থেকে বিরত থাকতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
