শিরোনাম
রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

তিন সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুতগতিতে

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আর যানজট হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অতিগুরুত্বপূর্ণ তিন সেতুর নির্মাণ কাজ। প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই তিনটি সেতু নির্মাণ হচ্ছে শীতলক্ষ্যা, মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতী নদীর ওপর। বিদ্যমান সেতুর পাশেই নির্মাণ করা হচ্ছে সেতুগুলো। আশা করা হচ্ছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতেই সেতু তিনটি একযোগে খুলে দেওয়া হবে যানবাহনের জন্য। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের শেষের দিকে নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শেষ হওয়ার পর গত জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে সেতু তিনটির মূল নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যে টেস্ট পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন দ্রুত গতিতেই চলছে মূল সেতু নির্মাণের কাজ। শুক্রবার সরেজমিন কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা নদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিরামহীনভাবে চলছে নদীর দুই পাশে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ। একই সঙ্গে নদীর ওপর সেতুর পাইলিংয়ের কাজ চলছে। একইভাবে সোনাগাঁয়ের অদূরে মেঘনা নদরী ওপর এবং দাউদকান্দিতে মেঘনা-গোমতী নদীর ওপরও সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সেই দুই সেতুর সংযোগ সড়কও নির্মাণ হচ্ছে। এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর নির্মাণ কাজের কারণে মাঝে মধ্যেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়ে গেলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে খুব একটা যানজট সৃষ্টি হবে না। ২০২১ সাল পর্যন্ত সেতু নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকলেও আগামী ২০১৯ সালের জানুয়ারিতেই এই তিনটি সেতু খুলে দেওয়া হবে। তখন আর এই তিন সেতু ঘিরে যানজটের সৃষ্টি হবে না। সওজ সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ এই তিনটি সেতুর পাশে বিকল্প তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১১ সালের প্রথম দিকে। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে জাপান আন্তর্জাতিক কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে তারা তিনটি সেতুই নির্মাণ করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। এরই অংশ হিসেবে ২০১২ সালে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সমীক্ষা কাজ শুরু করে জাইকা। প্রায় এক বছরের বেশি সময় নিয়ে তারা তিনটি নদীর ওপর সমীক্ষা সম্পন্ন করে। বিশেষ করে মেঘনা নদীর গতি প্রকৃতি, যে স্থানে সেতু নির্মাণ করা হবে বর্ষা মওসুমে সেখানে পানির গতি নিরীক্ষা করাসহ নদীর সামগ্রিক বিষয়ে সমীক্ষা করে জাইকা। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৫ সালের নভেম্বরে তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওএসজেআই জয়েন্ট ভেঞ্চারের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়। এই তিন সেতু নির্মাণ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। প্রকল্প সাহায্য হিসাবে জাইকা অর্থায়ন করবে ৬ হাজার ৪২৯ কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। আর সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন হচ্ছে ২ হাজার ৫৭ কোটি ৬৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

সর্বশেষ খবর