মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

তিস্তা চুক্তির বিরোধিতায় এবার তৃণমূল সাংসদ

কলকাতা প্রতিনিধি

মমতা ব্যানার্জির পর তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে এবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তারই দলের সাংসদ সৌগত রায়। তিস্তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে বাইপাশ করেই কেন্দ্র সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন তিনি।

সোমবার সংসদের জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিস্তা ইস্যুতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূলের প্রভাবশালী সাংসদ সৌগত রায়। তার অভিযোগ পানিবণ্টন নিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে দিল্লি ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছে। সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে কেন্দ্র যেখানে কঠোর মনোভাব নিয়েছে সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিস্তাচুক্তি নিষ্পত্তির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে  যাচ্ছে মোদি সরকার। তিনি আরও জানান, রাজ্যকে না জানিয়ে তিস্তা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের এই উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও কেন্দ্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনেই রাজ্য এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সঙ্গে নিয়েই তিস্তা চুক্তিতে এগোবে কেন্দ্রীয় সরকার। গত বৃহস্পতিবারই পশ্চিমবঙ্গের একটি নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনে মমতা। এদিন মমতার সেই বক্তব্যই সংসদে তুলে ধরেন তারই বিশ্বস্ত সাংসদ সৌগত রায়। সৌগত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সেদিন জানিয়েছিলেন আগামী ৭ এপ্রিল শেখ হাসিনার ভারত সফরের পরেই ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে তিস্তা নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। সে সময় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মমতা বলেছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে, বাংলাদেশকে তিনি ভালোবাসেন। সে কারণেই ছিটমহল সমস্যার সমাধান মিটিয়েছেন কিন্তু যেখানে রাজ্যের স্বার্থ রয়েছে সেখানে রাজ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাজ্যের স্বার্থ বিঘ্নিত করে কোনো চুক্তিই সম্ভব নয়। মমতা এও প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যকে বাইপাশ করে কেন্দ্র কেন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে?’  সৌগত রায় বলেন, রাজ্যকে না জানিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে এ ধরনের একটা আন্তর্জাতিক চুক্তি করতে যাওয়ার জন্য আমি কেন্দ্রের এ ধরনের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্মতি না নিয়ে তিস্তা নিয়ে যদি কেন্দ্রের তরফে কোনো চেষ্টা করা হয় তবে তারও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।

সর্বশেষ খবর