বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাই কোর্ট। বিএনপি চেয়ারপারসনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এ ছাড়া এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করা হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির। খালেদার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে তিনি আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোনো বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার মধ্যে পড়ে না। এ কারণে মামলা চলতে পারে না। তা ছাড়া মামলাটি করেছেন ব্যক্তি, রাষ্ট্র নয়। আদালত ছয় মাসের স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেছে।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বক্তব্যে দেশদ্রোহী মনোভাব থাকার অভিযোগে তা প্রত্যাহার চেয়ে উকিল নোটিস পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। নোটিসের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি আবেদন করেন। ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয়। ২৪ জানুয়ারি এ অনুমোদনের চিঠি হাতে পেয়ে পরদিন ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। পরে এই মামলায় তিনি নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেন। এই মামলাটি পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। ওই আদালত ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট মামলায় অভিযোগ আমলে নেয়। অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

সর্বশেষ খবর