রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

শিশুদের মাঝখানে বসিয়ে আত্মঘাতী হয় জঙ্গিরা

অপারেশন হিটব্যাক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গিরা শিশুদের মাঝখানে বসিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। যে কারণে শিশুদের মৃত্যু হয়। নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানার বাড়িতে মোট চারটি শিশুর লাশ পাওয়া যায়, যাদের বয়স ১০ বছরের নিচে।

বড়হাটের ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শেষে গতকাল পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,  নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় শিশুদের মাঝখানে রেখে তিন পাশে তিনজন সুইসাইডাল ভেস্ট বেঁধে বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় সেখানে তাদের সঙ্গে থাকা শিশুদেরও মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। সেখানে একজন পুরুষ ও দুজন নারী নিহত হয়। যারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তাদের কাররই পেট ও কোমরের অংশ নেই। তাদের শরীর তার জড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, তারা ইসলাম বিরোধী, দেশ বিরোধী, মানবতা বিরোধী। কারণ তারা নিজের শিশুদেরও রেহাই দেয়নি। গত বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নাসিরপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ নামে পুলিশের অভিযান শেষ হয়। অভিযান শেষে ওই বাড়ি থেকে চার শিশু, দুই নারীসহ সাতজনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধারের তথ্য জানায় পুলিশ। এরপর মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ নামে অভিযান চলে। গতকাল পুলিশের এ অভিযান শেষে ওই আস্তানার ভিতরে তিনজনের লাশ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। নিহত পুরুষদের মধ্যে একজন সিলেটে শিববাড়ীতে সেনা অভিযান চলাকালে জঙ্গি আস্তানার কাছের হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, বড়হাটের অভিযান বেশ জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ, তথ্য ছিল সিলেটের জঙ্গি আস্তানার কাছের হামলাকারীরা রয়েছে। টেকনোলজি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বড়হাটের আস্তানা থেকে সিলেটে গিয়ে হামলার পর হামলাকারীরা আবার এখানকার আস্তানায় ফিরে এসেছিল।

 

সর্বশেষ খবর