রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘একটি একটি করে থানার সব ইট খুলে নেওয়া হবে’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার একটি একটি করে সব ইট খুলে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। থানার প্রধান ফটকে লাথি মেরে ভিতরে প্রবেশ করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণও করেন তারা। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের থানা থেকে প্রত্যাহারের হুমকি দেন।শুক্রবার রাত ১০টায় কসবা থানার অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। মাদকসেবী এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করায় থানায় হামলা চালান উপজেলা ছাত্রলীগ নেতারা। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে কসবা রেলস্টেশনে আলম নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী মাদক সেবন করার সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা করে। তখন পুলিশ তাকেসহ একটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে শুক্রবার রাত ১০টার পর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন রিমনের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ছাত্রলীগ নেতা কসবা থানায় ঢুকে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন। থানার একটি একটি করে ইট খুলে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার টেবিল চাপড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ২৬ মার্চ থেকে সীমান্তবর্তী কসবায় মাদক নির্মূলে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীকে গ্রেফতার করা হয়।

 এরপর থেকেই পৌর মেয়র থানা পুলিশকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। মোটরসাইকেল ও মাদক ব্যবসায়ী ধরা বন্ধ করার আহ্বান জানান। কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, আমি ছাত্রলীগ করি না। সেই ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, তারা থানায় ঢুকে আমাকে হুমকি প্রদান করেছে। নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলগুলো কেন ধরা হচ্ছে এতে তারা বেশ কিছুদিন আগে থেকে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হতে থাকে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর