সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
এসআইয়ের সঙ্গে প্রেম

কেরোসিন ঢেলে নারী কনস্টেবলের আত্মহত্যা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

এক এসআইর সঙ্গে প্রেমঘটিত বিষয়ের জেরে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার মহিলা পুলিশ কনস্টেবল হালিমা খাতুন (২৫) নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল দুপুরে থানা ব্যারাকে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে ময়মনসিংহ  মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত এসআই মিজানকে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। কনস্টেবল হালিমা খাতুনের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার শ্যামগঞ্জে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, নারী পুলিশ সদস্য হালিমার সঙ্গে থানার এসআই মিজানের সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়। কয়েক দিন ধরে এসআই মিজান কনস্টেবল হালিমাকে এড়িয়ে চলেন এবং নানাভাবে প্রতারণা শুরু করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারী পুলিশ সদস্য গায়ে পেট্রল ঢেলে আত্মহত্যা করেন। গৌরীপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা আড়াইটার দিকে থানা ব্যারাকের একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন হালিমা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে মমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে ময়মনসিংহের ভালুকায় তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মমেক হাসপাতালে হালিমা খাতুন জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চাইলে এসপি বলেন, দগ্ধ হালিমার কথা অস্পষ্ট ছিল। তবে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সত্য।  তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত এসআই মিজান আমাদের নজরদারিতে রয়েছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম নেওয়াজী বলেন, ‘এক পুলিশ সদস্যের প্রেমে প্রতারণার শিকার হয়ে হালিমা নিজ শরীরে আগুন দেন বলে শুনেছি।’

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, অভিযুক্ত এসআই মিজান বিবাহিত। তার একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর