চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সর্বশেষ গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। সেই সঙ্গে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও প্রবৃদ্ধির হার অপরিবর্তিত ৬ দশমিক ৯ শতাংশ থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। চলতি অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির চাপ ৬ দশমিক ১ শতাংশ থাকবে বলে মনে করে এডিবি। যদিও সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে মূল্যস্ফীতির চাপকে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে ধরে রাখা।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৭-এ এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি কমে যাওয়াকে। সংবাদ সম্মেলনে এডিবির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর চাই লি, প্রিন্সিপাল কান্ট্রি স্পেশালিস্ট জোসনা ভারমা ও বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দবার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জোসনা ভারমা বলেন, রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। সুতরাং এটা আপাতত প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে না। এডিবি মনে করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কমলেও টেকসই প্রবৃদ্ধি হবে; যা অর্থনীতিতে নতুন ধারা তৈরি করেছে। যেমন বাংলাদেশে আয় বাড়ছে। আবার খরচ হচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টি করছে, এটা একটি দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশের অর্থনীতি সার্বিকভাবে ইতিবাচক অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করে এডিবি। কৃষি ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়ে এডিবি মনে করে, কৃষির প্রবৃদ্ধি ওইভাবে কমেনি। কিন্তু জিডিপিতে অবদান কমেছে। কারণ শিল্পসহ অন্যান্য খাত এগিয়ে গেছে। এটি উন্নতশীল অর্থনীতিতে হয়েই থাকে।