শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

এবার তৃণমূলে ভোট উৎসব

১৬ এপ্রিল ১৭৪ ইউপি ও ২৫ এপ্রিল তিন পৌরসভা নির্বাচন

গোলাম রাব্বানী

দলীয় প্রতীকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন করার পর এবার তৃণমূলে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৬ এপ্রিল একযোগে ১৭৪ ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে। এ ছাড়া ২৫ এপ্রিল তিন পৌরসভায়ও ভোট গ্রহণ হবে।

তৃণমূলের ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনাররা মাঠপর্যায়ে সফর শুরু করেছেন। মাঠের নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রশাসনের লোকজনদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের। নির্বাচনে জিরো টলারেন্স নীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনাররা বলছেন, বর্তমান কমিশনের অধীনে সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ জন্য সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমিশন প্রস্তুত রয়েছে। অন্যদিকে এসব নির্বাচনের জন্য মাঠপর্যায়ে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদা আছে কিনা তাও যাচাই করছে নতুন ইসি। ব্যালট পেপার ছাপানোর প্রস্তুতিও চলছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় মালামালও সংগ্রহ করেছে ইসি সচিবালয়।

এদিকে তফসিল অনুযায়ী ২৮ মার্চ প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে ১৭৪ ইউপিতে চলছে জমজমাট প্রচার-প্রচারণা। এ নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে। দুই দলের প্রতীক নৌকা-ধানের শীষ নিয়ে প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে রয়েছেন। এ ছাড়া সুষ্ঠু ভোট করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের চাহিদাপত্রও নিয়েছে ইসি। সে অনুযায়ী মাঠে রাখা হবে বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশ ও আনসার বাহিনী।

আগামী সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় সফরও করছেন এই কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা। তারা মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে কঠোর নির্দেশনাও দিয়েছেন। সম্প্রতি রাজশাহী সফরে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই। সেখানে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফিরেছে। বর্তমান      কমিশন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ জন্য সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমিশন প্রস্তুত রয়েছে। তৃণমূলের ভোটের বিষয়ে সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার এলাকায় একটি পৌরসভা ও ইউপি উপনির্বাচন রয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। ইসি সচিবালয় জানিয়েছে, ১৬ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন হবে ৫৫ ইউপিতে, উপ-নির্বাচন হবে ১০২ ইউপিতে এবং বন্ধ ঘোষিত, মামলাজনিত বা অন্য কারণে স্থগিত ইউপি, ভোটকেন্দ্রে পুনঃভোট গ্রহণ হবে ১৭টি ইউপিতে। সব মিলিয়ে ১৭৪ ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে।

তিন পৌরসভা : মেহেরপুর পৌরসভা, সিলেটের বিয়ানীবাজার ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভায় ২৫ এপ্রিল ভোট গ্রহণ। প্রার্থীরা এসব পৌরসভায় এখন জোর প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, ১৫ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব নেয়। এরপর কুমিল্লায় প্রথম বড় নির্বাচন করে তারা। এ ছাড়া দুটি উপনির্বাচন, একটি সিটি করপোরেন ও স্থানীয় সরকারের ১৮টি নির্বাচন হয়েছে নতুন ইসির অধীনে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর