শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে কালুরঘাট রেল সেতুর সংস্কার কাজে ধীরগতি

ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেলসেতুর দায়সারা সংস্কার কাজ চলছে ধীরগতিতে। আইওয়াশমূলক সংস্কার কাজের অজুহাতে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এ ছাড়া রেলওয়ে প্রশাসন বরাবর কালুরঘাট সেতুর ইজারাদার প্রতিষ্ঠান এক বছরের ‘সময় বর্ধিত’ করার আবেদন করে ব্যর্থ হওয়ায় গত ২০ মার্চ উচ্চ আদালতে রিট করে সেতুর দরপত্র কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে। এদিকে এ দায়সারা গোছের সংস্কার কাজের ঠিকাদারের নাম, এ কাজে কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতে রহস্যজনক আচরণ করছে রেল প্রশাসন।

পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন থেকে টোল আদায়ে আহ্বান করা দরপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়ায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, সেতুটির ওপর সংস্কার কাজ হচ্ছে। এগুলো দেখাশোনা  করে প্রকৌশল বিভাগ। প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ইজারাদার প্রতিষ্ঠান এন এ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর আইয়ুব আলী বলেন, কালুরঘাট সেতুর টোল আদায়ের কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে সেতুটি মেরামতের জন্য রেল প্রশাসনকে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে আগের তুলনায় যান চলাচল অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সেতুটির কার্যাদেশ পাওয়ার দীর্ঘ ৯ মাস পর সংস্কার কাজ শুরু হলেও প্রতিদিন সন্ধ্যার পর যান চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এ অবস্থায় এক বছর সময় বর্ধিত করার জন্য রেল প্রশাসনে আবেদন করেও কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত না দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে প্রশাসন। এতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। রেল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য কালুরঘাট সেতুর টোল আদায়ে ইজারাদার নিয়োগ দিতে গত ৮ মার্চ স্থানীয় পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান করে রেলওয়ে। কিন্তু বর্তমান ইজারাদার ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে। আদালত প্রকাশিত দরপত্রের কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, আদালত প্রকাশিত দরপত্রের কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ প্রদান করায় দরপত্র কার্যক্রম পরিচালনা আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে তা প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হলো।

সর্বশেষ খবর