রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

যাত্রাবাড়ী থেকে শীর্ষ জঙ্গি আবদুল্লাহ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই জঙ্গির নাম হাফেজ মাওলানা মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে আবদুল্লাহ।

শুক্রবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড মসজিদের সামনে থেকে ডিবি দক্ষিণের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ বলছে, আবদুল্লাহ এবিটির শরিয়াহ বোর্ডের সদস্য। গতকাল দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, এবিটির শীর্ষ এক নেতার নির্দেশে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রাবাড়ীতে আসেন আবদুল্লাহ। তিনি ময়মনসিংহের ফুলপুরে একটি মসজিদে ইমামতি ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। ২০০৭ সালে ফরিদাবাদ কওমি মাদ্রাসায় পড়ার সময় আবদুল্লাহ জিহাদি রাজনীতির বিষয়ে আগ্রহী হন। তিনি বিভিন্ন সময় একই মাদ্রাসার অন্য এক শিক্ষকের সঙ্গে জিহাদ বিষয়ে আলোচনা এবং এবিটির বিভিন্ন বইপত্র ও ভিডিও আদান-প্রদান করতেন। আবদুল্লাহ তার সাংগঠনিক নাম। ২০১৪ সালে তিনি এবিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। আগে গ্রেফতার হওয়া আরেক সদস্য আবু নাইমের মাধ্যমে তিনি সংগঠনে আসেন। তিনি ২০১৫ সালের শুরুর দিকে উত্তরার দেওয়ানবাড়ী এলাকার একটি বাসায় দেড় মাসব্যাপী জিহাদ বিষয়ে সামরিক ও ধর্মীয় প্রশিক্ষণ নেন। ওই বাসায় কম্পিউটার, ইমান, তাওহিদ, কাফির হওয়ার কারণ, জিহাদের মাসালা, চাপাতি চালানো, আগ্নেয়াস্ত্র খোলা ও লাগানো, নিরাপদ টেক্সটের মাধ্যমে কীভাবে মেসেজ পাঠানো এবং রিসিভ করা হয়— এসব সম্পর্কে তিনি প্রশিক্ষণ পান। এরপর ২০১৫ সালে তিনি সংগঠনটির শরিয়াহ বোর্ডের সদস্য হন। মনিরুল ইসলাম আরও জানান, কাউকে হত্যা পরিকল্পনার আগে এবিটির সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক কয়েকজন শীর্ষ নেতার সমন্বয়ে গঠিত শরিয়াহ বোর্ডের অনুমোদন নিতেন। গ্রেফতার হওয়া আবদুল্লাহ ওই বোর্ডের সদস্য। শরিয়াহ বোর্ড সরাসরি কোনো কাজ করে না। এদের মূল কাজ যখন কাউকে টার্গেট করা হয়, তখন তার লেখা সংগ্রহ করে পর্যালোচনা ও শাস্তি নির্ধারণ করা। এখন পর্যন্ত শরিয়াহ বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া এবিটি কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটায়নি। অবদুল্লাহর কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি ল্যাপটপ ও তিনটি জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর