রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

হাজারীবাগ ট্যানারির সংযোগ বিচ্ছিন্ন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে কারখানা সরিয়ে নিতে গতকাল থেকে রাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোর গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদফতর। আজও এ অভিযান চলবে। গতকাল শতাধিক কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। চামড়া শিল্পনগরীতে কারখানা সরিয়ে নিতে বারবার সময় দেওয়া হলেও মালিকদের অনীহার পর সংযোগ বিচ্ছিন্নের এই নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় পরিবেশ অধিদফতরের মহা্পরিচালক মো. রইছউল আলম মণ্ডলের নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হয়। পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা ওয়াসা, তিতাস গ্যাস এবং ডেসকো ও ডেসার কর্মকর্তারা নিজ নিজ সংস্থার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করেন। শুরুতে কাটা হয় টেলিফোন সংযোগ। এরপর একে একে বিভিন্ন কারখানার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। হাজারীবাগ ট্যানারি মোড় থেকে এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানকালে গোলযোগের আশঙ্কায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দলকেও মোতায়েন করা হয়। তবে কারখানার মালিকপক্ষ বা শ্রমিকরা বাধা দেয়নি অভিযানকারী দলকে। অভিযানের সময় লেদার টেকনোলজি কলেজের সামনে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়। অভিযানের সময় কোনো কারখানাতেই কাজ চলতে দেখা যায়নি। যদিও শ্রমিকরাও আশপাশেই ছিল। হাজারীবাগ থেকে ১৫৪টি ট্যানারিকে সাভারের চামড়াশিল্প নগরে সরিয়ে নিতে ২০০৩ সালে একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। তবে নানা কারণে ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও ট্যানারি সাভারে নেওয়া  শেষ করা যায়নি। পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রইছউল আলম মণ্ডল বলেন, শনিবার ১০২টি কারখানার ইউটিলিটি  সার্ভিস লাইন বন্ধ করা হয়েছে। বাকি ৯৬টি আজ দুপুরের মধ্যে বন্ধ করা হবে। মিলন ট্যানারি মালিক জাকির হোসেন বলেন, আমরা সাভারে প্লট পাইনি। আমাদের সার্ভিসের সব লাইন কেটে দিয়েছে। তা হলে আমরা কোথায় যাব? বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, এখানে প্রায় ২০০ কারখানা ছিল। এর মধ্যে ১৫৪টি কারখানা প্লট পেয়েছে। আমাদের তিন মাসের ১২০০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ আছে। এগুলো তো আমরা ডেলিভারি দিতে পারব না।

 

সর্বশেষ খবর