রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ

মুফতি হান্নানের ফাঁসি যে কোনো সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, দেলোয়ার হোসেন রিপন ও শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে তাদের ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নান ও বিপুলকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ও রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে এখন যে কোনো সময় ফাঁসি কার্যকর করবে স্ব স্ব কারা কর্তৃপক্ষ। কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান গতকাল জানিয়েছেন, আমাদের কাছে ফাঁসি কার্যকরের  কোনো নির্দেশনা এখনো পর্যন্ত আসেনি। তবে আসামিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হয়ে গেছে বলে আমি শুনেছি। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল। এর আগে প্রাণভিক্ষা চান প্রধান আসামি জঙ্গিনেতা ‘মুফতি’ আবদুল হান্নান ও দেলোয়ার হোসেন রিপন।

গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় মুফতি হান্নান ও বিপুল এবং দুপুরে রিপন স্ব স্ব কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। তাদের আবেদনগুলো ওই দিনই রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। দুই মন্ত্রণালয় হয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন বলে জানিয়েছে সূত্র। কারা সূত্র জানায়, এখন আবার স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের চিঠি কারাগারে পৌঁছালে ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হবে। গত ২২ মার্চ  রিভিউ খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয় ‘মুফতি’ হান্নান ও বিপুলকে। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন।

সর্বশেষ খবর