শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
মা-বাবাকে হত্যা

ঐশীর কথা শুনল হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিতা-মাতাকে হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানকে আদালতের নির্দেশে হাই কোর্টে হাজির করা হলো। পরে মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে আদালতের খাসকামরায় নেওয়া হয় তাকে। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে একান্তে প্রায় ১৫ মিনিট তার বক্তব্য শোনে আদালত। এরপর আবারও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল সকালে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে ঐশীকে হাজির করে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে আদালতের নির্দেশে তাকে খাসকামরায় নেওয়া হয়। এর আগে ৩ এপ্রিল পিতা-মাতা হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশীর ডেথ রেফারেন্সের শুনানিতে ঘটনার সময় আসামির মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে হাই কোর্ট তাকে হাজির করার নির্দেশ দেয়। গতকাল আসামিপক্ষে আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম। ১২ মার্চ হাই কোর্টে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শুরু হয়। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে এই দম্পতির একমাত্র কন্যা ঐশী রহমানকে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয় ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের পরে পলাতক ঐশীকে আশ্রয় দেওয়ায় তার বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেয় আদালত। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর হাই কোর্টে ঐশী আপিল করেন। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবেও মামলাটি হাই কোর্টে আসে। বিচারিক আদালতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে দণ্ড কার্যকরে হাই কোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ‘ডেথ রেফারেন্স’ মামলা হিসেবে পরিচিত। রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে সপরিবারে থাকতেন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট ওই বাসা থেকে স্ত্রী স্বপ্না রহমানসহ তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান ওইদিনই পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ওই নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।

 ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশী ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র এবং নিহতদের বাসার শিশু গৃহকর্মী সুমীর বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। বিচারিক আদালত ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় গৃহকর্মী সুমীর বিচার চলছে শিশু আদালতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর