বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

এবার কূটনৈতিক পল্লীতে উচ্ছেদ

বিভিন্ন দূতাবাসের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দিল সিটি করপোরেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার কূটনৈতিক পল্লীতে উচ্ছেদ

রাজধানীর গুলশানে গতকাল কূটনৈতিক পাড়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে উত্তর সিটি করপোরেশন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ফুটপাথে জনগণের চলাচলের অধিকার ফিরিয়ে দিতে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত দূতাবাসগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমেরিকা, কানাডাসহ কয়েকটি দূতাবাস তাদের ফুটপাথের স্থাপনা ইতিমধ্যে অপসারণ করে নিয়েছে। গতকাল ইতালি ও পাকিস্তান দূতাবাসের সহযোগিতায় তাদের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছে ডিএনসিসি। পর্যায়ক্রমে সব দূতাবাস সংলগ্ন ফুটপাথ দখলমুক্ত করে কূটনৈতিক এলাকায় সাধারণ মানুষের পায়ে চলার পথ তৈরি করা হবে বলে ডিএনসিসি সূত্র জানায়। গতকাল ডিএনসিসির অভিযানে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, জার্মানি, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস কর্তৃপক্ষকে তাদের পার্শ্ববর্তী ফুটপাথ এবং রাস্তা থেকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানান মেয়র আনিসুল হক। সকালে ইতালি ও পাকিস্তান দূতাবাসের পার্শ্ববর্তী ফুটপাথ থেকে কংক্রিটের ব্লক সরিয়ে নেওয়ার কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এ অনুরোধ জানান। তাদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নগরপিতা হিসেবে আমি সর্বাগ্রে নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। কিন্তু তাই বলে জনগণের রাস্তা বা ফুটপাথে তারা চলতে পারবে না এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। উপস্থিত সাংবাদিকদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, এখানে যেসব দেশ তাদের দূতাবাসের চারপাশে চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছেন, তাদের অনেক দেশের চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি অনেক কম। কিন্তু তাদের দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাশে আমরা এমন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিনি। কয়েকটি দূতাবাস ফুটপাথের পাশাপাশি রাস্তা দখল করে নিরাপত্তামূলক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমেরিকা এবং কানাডা যেখানে আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এতবছর পর তাদের ফুটপাথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে; ইতালি এবং পাকিস্তান দূতাবাস সংলগ্ন ফুটপাথ আজ উন্মুক্ত হচ্ছে; অস্ট্রেলীয় দূতাবাসও আজ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে, সেখানে অন্যেরা কীভাবে ফুটপাথ ছেড়ে রাস্তা পর্যন্ত দখল করে রাখে! জনস্বার্থে ফুটপাথ উন্মুক্ত করার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, আমরা গত কয়েক মাস ধরে সব দূতাবাসের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছি। তাদের বেশিরভাগই আমাদের সহযোগিতা করলেও কয়েকটি দূতাবাস এখনো আশানুরূপ সহযোগিতা করছে না। আমরা তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে সম্মত করতে চাই। এখানে বল প্রয়োগ বা বাধ্য করার কোনো প্রচেষ্টা আমরা নিচ্ছি না। আমি আশাবাদী তারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিতে সম্মত হবে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ইতালি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মি. জিউসেপ সেমেনযাকে তার সহযোগিতার জন্য মেয়র ধন্যবাদ জানান। ডিএনসিসির অভিযানকালে প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে?ডিয়ার জেনারেল ?মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, ডিএনসিসির নির্বাহী মো. সাজিদ আনোয়ারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর