বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

যশোর ও সিরাজগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের চৌগাছা উপজেলার সলুয়া-নিমতলা এলাকা থেকে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন চৌগাছার কাবিলপুর গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে একসের আলী (৪৫) ও চৌগাছা মডেল পাড়ার কোহিনুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (৩৫)। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুল হালিম সরকার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

যশোর : জেলার চৌগাছা উপজেলার সলুয়া-নিমতলা এলাকা থেকে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন চৌগাছার কাবিলপুর গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে একসের আলী (৪৫) ও চৌগাছা মডেল পাড়ার কোহিনুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (৩৫)। চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক অনিল মুখার্জি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশের কাছে খবর আসে যে নিমতলা এলাকায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুটারগান, একটি কার্তুজ ও দেড়শ বোতল ফেনসিডিল। দুই লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন নিহত একসেরের ভাই সেরেস্তা আলী ও বোন নূরজাহান বেগম। তারা বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা একসের আলীর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না। চৌগাছা থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, নিহত একসের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ২১টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া সাইদুরের বিরুদ্ধেও হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ : জেলার কামারখন্দে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুল হালিম সরকার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হালিম শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে র‌্যাব দাবি করেছে। এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চকশাহবাজপুর উত্তরপাড়া ঝাঐল ওভারব্রিজ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। নিহত আবদুল হালিম কামারখন্দ উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মৃত কামাল সরকারের ছেলে। র‌্যাব-১২ স্পেশাল কোম্পানি সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাফায়াত আহম্মদ সুমন জানান, ঝাঐল ওভারব্রিজ এলাকায় একদল সন্ত্রাসী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সেখানে অভিযান চালায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি শুরু করলে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষে বেশ কিছুক্ষণ গুলিবিনিময়ের পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আবদুল হালিমকে পাওয়া যায়। বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে আনোয়ার ও শাহ আলম নামে দুই র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি জানান, নিহত আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর