রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ গাংনীতে নিহত দুই

মেহেরপুর প্রতিনিধি

নিখোঁজের তিন দিন পর গাংনীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিপন হোসেন ও আলমগীর হোসেন নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তারা দুজন এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গাংনী উপজেলার মালসাদহ-হাড়িয়াদহ সড়কের সরোয়ারের এসবি ইটভাটা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি, বোমা ও দেশি রামদা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত শিপন গাংনীর দুলালনগর গ্রামের মাদার আলীর ছেলে এবং আলমগীর পাশের চাঁদপুর গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে।গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, মালসাদহ-হাড়িয়াদহ সড়কের সরোয়ারের ইটভাটায় কয়েকজন চাঁদাবাজ চাঁদা নিতে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় চাঁদাবাজরা টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে শিপন ও আলমগীরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গাংনী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীব উদ্দীন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই গুলিবিদ্ধ দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আলমগীরের চাচা মোহাম্মদ আলী জানান, ১২ এপ্রিল ফজরের আজানের সময় শিপনের মোবাইল ফোন নম্বর থেকে আলমগীরের কাছে একটি কল আসে।

 আলমগীর ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এর পর থেকে গত তিন দিন তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। গাংনী কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে এমন খবর পেয়ে সেখানে গেলে ক্যাম্পের লোকজন তাকে অটক রাখার কথা অস্বীকার করেন।

শিপনের মা মুস্তরা বেগম জানান, ‘১২ তারিখ সকালে শিপন বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্য সেজেগুজে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ। খবর পাই তাকে ও আলমগীরকে কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। গ্রামের লোকজন নিয়ে আমরা কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পে গেলে আমাদের ক্যাম্পের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাকে আটক রাখা হয়েছে কিনা তাও জানায়নি। পরে আজ সকালে আমার ভাইকে কে বা কারা ফোন করে জানায় শিপনের লাশ সরোয়ারের এসবি ইটভাটা এলাকায় পড়ে আছে। আমার ভাই আমাকে ফোন করে শিপনের নিহত হওয়ার কথা জানালে আমি গিয়ে লাশ শনাক্ত করি।’ শিপনের মা আরও বলেন, ‘আমার ছেলে একজন দিনমজুর। দিন আনে দিন খাই। তার নামে কোনো থানায় কোনো মামলা নেই, সে কীভাবে সন্ত্রাসী হলো?’ বয়োবৃদ্ধ হাসমত আলী বলেন, ‘শিপনকে কখনো বেশি রাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরে দেখিনি। তা ছাড়া যে রাতে সন্ত্রাস করে বেড়াবে সে দিনের বেলায় দিনমজুরের কাজ করবে কেন?’ গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় পুলিশের এসআই শংকর কুমার ঘোষ, এএসআই রফিক, কনস্টেবল মতিউর, কনস্টেবল খাইরুল আহত হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর