মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ডিসেম্বরের মধ্যে সবার হাতে স্মার্ট কার্ড

পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ চাইছে বিভিন্ন দূতাবাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বরের মধ্যে সবার হাতে স্মার্ট কার্ড

চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ৯ কোটি ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া নতুন ভোটারদের স্মার্টকার্ড দিতেও প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইসি। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

এদিকে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৭৪টি সংস্থা ইসির তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করছে। এ ছাড়া তিনটি বিদেশি দূতাবাস এটা ব্যবহারের জন্য আবেদন করেছে বলেও জানান তিনি। তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী ফ্রান্স থেকে ৯ কোটি ব্ল্যাংক কার্ড আসার কথা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এসেছে প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বাকি কার্ড দিতে বলা হয়েছে এবং এই সময়ের মধ্যে তারা কার্ড দেবে বলে লিখিতও দিয়েছে। তারা যদি যথা সময়ে কার্ড না দেয় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। তিনি জানান, এ বছরের মধ্যেই সব নাগরিকের হাতে কার্ড পৌঁছে দিতে হলে আমাদের বাড়তি আরও ১৮টি প্রিন্টার মেশিনের প্রয়োজন। পাশাপাশি আগে ১০টি মেশিনে এক শিফটে কাজ করা হতো। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই শিফটে প্রিন্ট করা হচ্ছে। এখন সবগুলো দিয়ে তিন শিফটে কাজ করতে হবে। তবে কার্ড বিতরণ হবে থানা অফিস থেকে। তাই আমরা উপজেলা পর্যায়ে এই কাজের জন্য সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। তিনি বলেন, তথ্যের কমতি থাকায় অনেকের কার্ড প্রিন্ট হচ্ছে না। আমরা দ্রুত সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— এনআইডি উইংয়ের পরিচালক (অপারেশন্স) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান, কমিউনিকেশন অফিসার মো. আশিকুর রহমান প্রমুখ। ৯ কোটি কার্ডের পর বাকিদের বিষয়ে কমিশন কী ভাবছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চুক্তি করেছি ৯ কোটির জন্য। সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ১৭ লাখ। বাকিদের দেশে তৈরি স্মার্টকার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সঙ্গে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ৩০ এপ্রিল এ বিষয়ে আমাদের মিটিং রয়েছে। সেখানে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে আশা করি। তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৭৪টি সংস্থা এই ইসির তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করছে। এ ছাড়া তিনটি বিদেশি দূতাবাস এটা ব্যবহারের জন্য আবেদন করেছে। জাতীয় ও ব্যক্তি নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি ভেবে দেখছি। তারা তাদের কতটুকু পর্যন্ত এক্সেস দিতে পারব তা সূক্ষ্মভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকায় এ পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। প্রথম দিকে এটি কম নাগরিক নিলেও পরবর্তীতে তা বেড়েছে। তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটিসহ চট্টগ্রাম ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকায় ৫৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ কার্ড বিতরণ হয়েছে। ঢাকায় অবশিষ্টগুলো বিতরণের কাজ চলছে। যে এলাকায় স্মার্টকার্ড বিতরণ হয়েছে কিন্তু অনেকে পাননি, তাদের জন্য পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দ্বিতীয়বার আবারও ঘোষণা দিয়ে বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর