মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

চতুর্থ ফোকলোর সামার স্কুল শেষ হলো

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

চতুর্থ ফোকলোর সামার স্কুল শেষ হলো

বাংলা একাডেমিতে শেষ হলো পাঁচ দিনব্যাপী ‘চতুর্থ ফোকলোর সামার স্কুল’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ফোকলোর কর্মশালা। গতকাল বিকালে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আন্তর্জাতিক ফোকলোর বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি হিসেবে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফোকলোরবিদ অধ্যাপক ফ্রাঙ্ক জে কোরম, ভারতের বিশিষ্ট গবেষক জহর সরকার, ভারতের বিশ্বখ্যাত ফোকলোরবিদ অধ্যাপক জওহরলাল, ড. অসীমানন্দ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। সমাপনী ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। চতুর্থ ফোকলোর সামার স্কুলের সমন্বয়কের বক্তব্য প্রদান করেন ড. ফিরোজ মাহমুদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির ফোকলোর, জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগের পরিচালক শাহিদা খাতুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘সোশ্যাল চেঞ্জ অ্যান্ড ফোকলোর’  গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমাদের লোকায়ত জীবনেই আছে ফোকলোর বিস্তৃত উপাদান। এর মর্ম অনুসন্ধান করে বৃহৎ মানুষের মঙ্গলে তাকে ব্যবহার করতে পারলেই ফোকলোরসহ যাবতীয় বিদ্যাচর্চার স্বার্থকতা প্রতীয়মান হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বেগবান করতে ফোকলোর চর্চার অসাম্প্রদায়িক অভিমুখ আমাদের বিশেষ সহায়ক হবে। আন্তর্জাতিক ফোকলোর বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্ব-ফোকলোরের নেতৃত্বের আসন গ্রহণ করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া জুড়ে ফোকলোরের যে বিপুল সংগ্রহক্ষেত্র বাংলাদেশ তা আত্তীকৃত করে এদেশের নিজস্ব ফোকলোর-ভাণ্ডারের সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে ব্যবহার করতে পারে। তারা বলেন, বাংলা একাডেমি শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে এদেশের ফোকলোরকে পরিচিতি দানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এসেছে। এখন প্রয়োজন একাডেমির নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ ফোকলোর ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা। অনুষ্ঠানে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ১৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, সভাপতি এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।

টিএসসিতে শুরু হলো আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় উৎসব : ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের আয়োজনে প্রথমবারের মতো শুরু হলো তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় উৎসব। গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ধান বাহাদুর অলী। উৎসবের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। উদ্বোধন পর্ব শেষে মূকাভিনয় প্রদর্শন করে আয়োজক দল ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন। উৎসবে একক পারফরমেন্স নিয়ে অংশগ্রহণ করছে— জাপান, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল, চীন ও ভুটানের জনপ্রিয় মাইম শিল্পীরা। এ ছাড়া আরও অংশ নিচ্ছে— মুক্তমঞ্চ নির্বাক দল (গাজীপুর), জেন্টেলম্যান প্যান্টোমাইম (ঢাকা), জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, মাইম আর্ট (ঢাকা), বেঙ্গল থিয়েটার (ঢাকা), সাইলেন্ট থিয়েটার (চট্টগ্রাম), প্রভাতফেরি (চুয়েট), নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি মাইম সোসাইটি, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি মাইম সোসাইটি, মাইম অ্যাকশন ময়মনসিংহসহ মোট ১০টি মূকাভিনয় দল। কাল বুধবার শেষ হবে তিন দিনের এই উৎসব।

সর্বশেষ খবর