বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
ভাস্কর্য ওলট-পালট

সমালোচনার ঝড় দায় স্বীকার নিয়ে ভিন্ন রূপ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্যগুলো ওলট-পালট করে রাখা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়। অন্যদিকে যে দুই শিক্ষার্থী দায় স্বীকার করেছেন তা নিয়েও দেখা দিয়েছে ভিন্নরূপ। জানা যায়, ঘটনা জানাজানি হলে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গণমাধ্যমে দুজন শিক্ষার্থী দাবি করেন, তারা ৩০-৪০ জন মিলে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটান। এতে নেতৃত্ব দেন মৃিশল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের মাস্টার্সের ইউসুফ আলী ও ইমরান হোসেন অনিক। তবে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা শরীফ আনোয়ার জানান, ঘটনায় জড়িত ছিলেন সাতজন শিক্ষার্থী। এদিকে, গতকাল বেলা ১২টার দিকে চারুকলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায় ভাস্কর্যগুলো আগের মতো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় অধ্যাপক মোস্তফা শরীফ আনোয়ার দাবি করেন, ওই দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে ঘটনার  সঙ্গে জড়িত মাত্র একজন। সে বিভাগের কয়েকজন জুনিয়র শিক্ষার্থীকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। তবে জড়িতদের বিষয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃিশল্প ও ভাস্কর্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভাস্কর্য ওলট-পালট করে রাখার পেছনে অন্য কোনো মহল বা শিক্ষকের ইন্ধন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে তদন্ত দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা বিভাগের বিভিন্ন বিশৃঙ্খলার কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে— তা সত্য কিনা তাও তদন্ত করা হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, শিক্ষকরা ক্লাস নেন না, ভাস্কর্যগুলো সংরক্ষণ করা হয় না এর জন্য আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু শিল্পকলা উল্টিয়ে নয়। এভাবে শিল্পকর্মকে অপমান করা হয়েছে। এখানে কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, তৃতীয় পক্ষের ওপর দোষ চাপানো এবং সারা দেশে একটা আলোড়ন সৃষ্টির জন্য এটা করে থাকতে পারে। চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, অনুষদের শিক্ষকরা ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য আবেদন করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর